মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


সিরিয়া যুদ্ধের করুণ গল্প: চোখ ও পা হারিয়ে পাহাড়ে হামাগুড়ি দিয়ে জোগান পরিবারের খাবার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ২০১১ সাল, যুদ্ধ শুরু হয়েছে। তখন-ই এক দুর্ঘটনায় ডান হাত ও বাম চোখ হারান আহমাদ সালিম আব্দুল্লাহ নামের এক সিরীয়। শুধু তাই নয়; প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হন অন্য হাঁটুতে। তারপর বছরের পর বছর চিকিৎসায় ব্যয় করে ফেলেন যত সম্পতি ছিল, তার প্রায় সবটুকুই। ১৩ বার অপারেশনের ছুরি-কাঁচির নিচে গিয়েছেন; আশা ছিল- কৃত্রিম অঙ্গ স্থাপন করে কিছুটা স্বচ্ছন্দ হবেন, কিন্তু না, তা হয়নি। এখন সেভাবেই জীবন কাটছে তার।

তবে এখানেই শেষ নয় আহমাদের জীবন। তার যে পরিবারে আরো সদস্য আছে, যাদের খাবারের ভার তারই ওপরে- এজন্য এরকম অসুস্থতা সত্ত্বেও তাকেই প্রতিদিন বের হতে হয় পরিবারের আহার জোগাড়ে। রুক্ষ্ম এলাকার প্রাণহীন পাহাড়। সেখানেই তাকে খাবার তালাশে যেতে হয়। তৃণলতা আর ঘাস ছাড়া যেখানে তেমন আর কিছুই নেই। ঘাসও যেন সেখানে বহুমূল্য। এসব পাহাড়েই হামাগুড়ি দিয়ে তাকে পরিবারের জন্য ‘খাবার’ কুড়াতে হয়। তার ছোট সন্তানদের সাহায্যে তিনি এ পাহাড় ও পাহাড় ঘুরে ঘাস কুড়ান।

আহমাদ সালিম বলেন, অন্যদের মধ্যে তার একটি প্রতিবন্ধী ছেলেও রয়েছে, তাদের সবার আহার জোগানোই তাকে কাজে যেতে বাধ্য করে। পাহাড়ে কুড়ানো ঘাস বাজারে বিক্রি করে যা কিছু হয়, তার অর্ধেক (২০ তুর্কি লিরা) দিয়ে রুটি কিনে আনেন পরিবারের জন্য।

তিনি জানান, পরিবারে মোট নয়জন সদস্য। তাদের ভালো করে দুই বেলা পেটপুরে খেতে অন্তত ২০০ লিরার (১৩ মার্কিন ডলার) রুটি প্রয়োজন কিন্তু তিনি তা কই পাবেন? তিনি আয়নার দিকে তাকান। তার পাশে বাচ্চাদের দেখেন এবং বলেন, তারা আমার কী ক্ষতি করতে পারল? আমি তো বেশ-ই আছি।

সূত্র: আলজাজিরা।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ