আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন অপরাধ আখ্যা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার একটি আইন পাস করেছে ইরাক। বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
কুদস প্রেসকে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামাস বলে, ইরাকের সময়োপযোগী এ পদক্ষেপ ইরাকি জনগণের সততা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি তাদের ঐতিহাসিক অবস্থানকে প্রতিফলিত করেছে।
হামাস সকল আরব ও মুসলিম দেশের পার্লামেন্টকে এ আইনের অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে আরও বলেছে, ইরাকের এ আইন ফিলিস্তিন ও এর জনগণের এবং তাদের ভূমির জন্য লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন দিচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার ইরাকের পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে একটি আইন পাস হয়। যেখানে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ, যোগাযোগ বা সম্পর্ক স্থাপনকে অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। এ আইন বর্তমান ও ভবিষ্যতের যে কোনো সময়ের জন্য প্রযোজ্য। ইসরায়েল ও দেশটির সরকারের সাথে ইরাকের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই এবং বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল দেশটির সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণকে অস্বীকার করে।
‘ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন নিষিদ্ধ’ শিরোনামের ওই বিলে একটি ধারায় বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও বিজ্ঞানগত সহযোগিতা নিষিদ্ধ।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ প্রচেষ্টায় দুই বছর আগে চারটি মুসলিম দেশ ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে। আরো কিছু দেশ দেশটির সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকরণের পথে অগ্রসর হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে ইরাক যেনো কখনোই এই পথ অনুসরণ করতে না পারে সে জন্যই ইরাকের পার্লামেন্ট এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। পরে এই দুই দেশকে অনুসরণ করে মরক্কো ও সুদান। চার দেশের এই পদক্ষেপকে অনেকে বিশ্বাসঘাতকতা বলে অভিহিত করেছ। সূত্র: মিডলইস্ট মনিটর
-এটি