আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মাজিদ তখত রাভাঞ্চি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে তিনি ইসলামিক রেভল্যুশন গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) সদস্যের ওপর সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করার জন্য সংস্থাটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল বুধবার চিঠিতে রাভাঞ্চি শহীদ হাসান সাইয়্যাদ খোদায়ীকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য হিসেবে বর্ণনা করেন। সন্ত্রাসবাদ ও আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্রিয় এবং প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করেছিলেন খোদায়ী।
তিনি বলেন, প্রাথমিক প্রমাণগুলো স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয়, একটি দেশ তার বৈদেশিক নীতির অবৈধ লক্ষ্যগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার উপায় হিসাবে ইরানী সেনা, নিরীহ নাগরিক এবং বিজ্ঞানীদের ধারাবাহিকভাবে হত্যা করে চলেছে। এই হত্যাকাণ্ড জাতিসংঘের সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকারের নীতির লঙ্ঘন। এভাবে হত্যাকাণ্ড আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি।
চিঠিতে বলা হয়, এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ইরানের লড়াই থামাতে পারবে না। ইরানের রাষ্ট্রদূত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাস্তব ও বৈষম্যহীন লড়াইয়ে জাতিসংঘের দায়িত্বের অংশ হিসেবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা করার আহ্বান জানান।
এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান তেহরানে আইআরজিসি সদস্যের হত্যার নিন্দা জানান। তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থায় হত্যা মামলাটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুতর প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছেন।
আমির আবদুল্লাহিয়ান এক শোক বার্তায় বলেন, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) অফিসার হাসান সাইয়্যাদ খোদায়ীর শাহাদাত প্রমাণ করে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের অগ্রভাগে রয়েছে ইরান।
আইআরজিসি অফিসার কর্নেল সায়াদ খোদায়ীকে তেহরানে দুজন মোটরসাইকেল আরোহী গুলি করে হত্যা করে। সন্ত্রাসীরা তাকে পাঁচবার গুলি করে। খোদায়ী যখন তেহরানের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় তার বাড়িতে প্রবেশের জন্য নিজ গাড়ি থেকে নামছিলেন, তখনই হামলাটি চালানো হয়।
-এটি