আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভারত-অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরের নেতা ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। বুধবার দিল্লির বিশেষ একটি আদালত কাশ্মিরের এই নেতার যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেন।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলেছে, ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী নেতা ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন। এর আগে তিনি ভারতের কঠোর বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) আওতায় তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়ায় আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী উমেশ শর্মা বলেছেন, ইয়াসিন মালিককে দুটি যাবজ্জীবন এবং ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাঁচটি শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সব সাজা একসাথে চলবে। এছাড়াও তাকে ১০ লাখ রুপি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ভিন্ন ভিন্ন মামলায় তাকে ভিন্ন ভিন্ন সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন ইয়াসিন মালিক।
আদালতে শুনানির সময় ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী তাকে কেন পাসপোর্ট দিয়েছিলেন, সেই বিষয়ে নিজের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন কাশ্মিরের এই নেতা। তিনি বলেন, অপরাধী হলে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাকে কখনই বিশ্বজুড়ে ঘুরে বেড়ানোর এবং কথা বলার সুযোগ দিতেন না।
মালিক আরও বলেন, তিনি ১৯৯৪ সালে অস্ত্র ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে মহাত্মা গান্ধীর নীতি অনুসরণ করেছেন। আমি তখন থেকে কাশ্মিরে অহিংস রাজনীতি করে আসছি।
২০১৬ সালে কাশ্মিরে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে হিজবুল মুজাহিদীন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরপরই ইয়াসিন মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতকে তিনি বলেছেন, বুরহান ওয়ানির এনকাউন্টারের ৩০ মিনিটের মধ্যে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অটল বিহারি বাজপেয়ী আমাকে পাসপোর্ট দিয়েছিলেন। আমি অপরাধী নই। যে কারণে ভারত সরকার আমাকে অনাপত্তিপত্র দিয়েছিল।
এনটি