আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মাঙ্কিপক্সের কারণে বিশ্ব ভয়াবহ চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে জানিয়ে এবার সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে ভাইরাসটির ধরন বদলের কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
করোনার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই মাঙ্কিপক্স নামের নতুন আতঙ্কের মুখোমুখি বিশ্ব। এরইমধ্যে আফ্রিকার বাইরে আরও ১৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এ রোগ।
ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যে অন্তত ৮০ জনের দেহে ধরা পড়েছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস, যা আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর গার্ডিয়ানের।
এমন পরিস্থিতিতে মাঙ্কিপক্স বিশ্ববাসীকে শক্তিশালী এক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে নতুন এ ভাইরাসটির ধরন বদলানোর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় ভাইরাসটির ধরন পরিবর্তনের কোনো প্রবণতা দেখা যায়নি বলে সোমবার (২৩ মে) জানায় সংস্থাটি।
ডব্লিউএইচওর গুটিবসন্ত বিষয়ক দফতরের প্রধান রোজামুন্ড লুইস বলেন, এটাকে (মাঙ্কিপক্স) আমরা ডিএনএ ভাইরাস বলতে পারি। অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় এর পরিবতির্ত হওয়ার হার কম। এটি স্থিতিশীল ভাইরাস। যে কারণে ভাইরাসটির ধরন বদলানোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছে নেই।
এর আগে মাঙ্কিপক্স করোনার মতো সহজে সংক্রমিত হয় না বলে জানান একদল বিজ্ঞানী। তবে বিপুল জনগোষ্ঠীর মাঝে রোগটির ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা কম হলেও আগে থেকেই যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লাউটারবাচ বলেন, বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব অস্বাভাবিক বিষয়। এটি অত্যন্ত উদ্বেগের। ভাইরাসটি যেভাবে ছড়াচ্ছে তার মানে এটি পরিবর্তিত হতে পারে। আর তাই আমাদের এখনই দ্রুত ও সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত ২১ জনের দেহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তরা সবাই ইংল্যান্ডের বাসিন্দা। সোমবার (২৩ মে) স্কটল্যান্ড দেশটিতে প্রথম মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের ঘোষণা দেয়।
এ অবস্থায় মাঙ্কিপক্সকে ‘বিরল’ রোগ বলে মন্তব্য করেছেন বিট্রিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আক্রান্তদের কাছাকাছি আসা ব্যক্তিদের ২১ দিন আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ব্রিটিশ প্রশাসন। অনেকের ক্ষেত্রে স্মলপক্সের টিকা নেয়ারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
-এটি