আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দখলদার ‘ইসরায়েল রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টার বিরোধিতা কর ইরাক। মিশরে অনুষ্ঠিত আন্তঃআরব সংসদীয় সম্মেলনের চূড়ান্ত বিবৃতিতে ইসরায়েলকে ‘ইসরাইল রাষ্ট্র’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। আর এই বিবৃতিতির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছেন ইরাকি পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মাদ আল-হালবুসি।
একই সঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েকটি আরব দেশে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণেরও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
হালবুসির দফতরকে উদ্ধৃত করে ইরাকের সরকারি বার্তা সংস্থা ইনা রবিবার এই খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সম্মেলনের চূড়ান্ত বিবৃতিতে ‘ইসরায়েল রাষ্ট্র’ উল্লেখ করার বিরোধিতা করেছেন স্পিকার মুহাম্মাদ আল-হালবুসি।
ইনা জানিয়েছে, কায়রোয় অনুষ্ঠিত আরব পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের বৈঠকে এতকাল ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে ‘দখলদার ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ’ বলে উল্লেখ করা হতো। কিন্তু চলতি বৈঠকে ‘ইসরায়েল রাষ্ট্র’ বলে অভিহিত করা হয়, যার বিরোধিতা করেন ইরাকের পার্লামেন্ট স্পিকার।
তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের দমনপীড়ন চরম আকার ধারণ করেছে যা সহ্য করা বা উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। যেকোনও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের প্রথম ক্বিবলা দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে।”
ইরাকের পার্লামেন্ট স্পিকার বলেন, তার দেশের কোনও সরকার যাতে ভবিষ্যতে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে না পারে সেজন্য পার্লামেন্টে কঠোর আইন করা হবে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে আমেরিকার মধ্যস্থতায় ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই দুই দেশকে অনুসরণ করে মরক্কো ও সুদানও দখলদার ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সূত্র: ফার্সনিউজ
-এটি