আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের মধ্যে আগামী অক্টোবরে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু। আজ বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে নিউইয়র্কের টার্কিশ হাউজে এক বৈঠক শেষে তিনি এই তথ্য জানান।
মেভলুত জানান, আগামী অক্টোবরে রোমে দুদেশের শীর্ষ ব্যক্তির বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। ব্লিঙ্কেন-চাভুসোগলুর মধ্যে বৈঠকে দুদেশ নিজেদের কর্মপদ্ধতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আনাদোলু এজেন্সিকে মেভলুত জানান, বিভিন্ন খাতে সংযুক্ত থাকার মাধ্যমে দুদেশ কৌশলগত কর্মপরিকল্পনার ব্যাপারে আগ্রহী এবং যেসব বিষয়ে দুদেশ একমত হতে পারবে সেসব বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে।
মূলত অস্ত্র কেনাবেচা নিয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। বিশেষ করে তুরস্ক রাশিয়ান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ কেনার পর থেকে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপের দিকে চলে যায়।
২০১৯ সালে তুরস্ক ওই অস্ত্র রাশিয়ার কাছ থেকে কেনে। যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ দিতে গড়িমসি করলে এরদোয়ান পুতিনের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হয় তুরস্ক। সিরিয়া ও গ্রিস পলিসি নিয়ে দুদেশের মধ্যে মতভেদ চলে আসছিল।
গত মাসে আঙ্কারা সফর করেন রাজনীতিবিষয়ক মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড। সফরে তিনি তুরস্কের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দুদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও কীভাবে জোরদার করা যায় সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
অর্থনীতি ও নিরাপত্তাবিষয়ক ইস্যুগুলোতে জোর গুরুত্বারোপ করেন দুদেশের কর্মকর্তারা। সন্ত্রাসবাদ দমনেও মতবিনিময় হয়। পরে এক যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে দুদেশ সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করবে।
চাভুসোগলু বলছেন, কর্মপন্থার আলোকে বিশ্বের নানা সংকট নিয়ে আমরা কাজ করতে প্রস্তুত আছি। যেসব খাতে আমাদের সম্পর্ক দৃঢ় করা সম্ভব, তা নিয়ে দুদেশই আলোচনা-পর্যালোচনা করতে আগ্রহী। বিষয়টি তুরস্কের কর্মপন্থার একটি অংশও বটে। সূত্র: আনাদোলু, আহভাল নিউজ।
-এটি