আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মুসলিমদের প্রথম কিবলা মসজিদুল আকসার খতিব শায়খ ইকরিমা সাবরির ওপর অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল দেশত্যাগে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তার প্রতিবাদ করেছেন শায়খ নিজেই।
তিনি বলেছেন, ‘এই অন্যায় সিদ্ধান্ত আমার অবস্থান কিছুতেই পরিবর্তন করতে পারবে না এবং উম্মাহ ও জনগণের ওপর আমার যে ধর্মীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য তা থেকে আমাকে বিরত রাখতে ও পৃথক করতে পারবে না। আর আমার মসজিদুল আকসাকে প্রতিরক্ষা আমৃত্যু অব্যাহত থাকবে।’
সোমবার আলজাজিরা মুবাশিরের সান্ধ্যকালীন একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তার ওপর হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ করে শায়খ ইকরিমা সাবরি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ওপর আল্লাহর অনুগ্রহ যে, তিনি আমাদের মসজিদুল আকসার সাথে সম্পর্কের নেয়ামত দ্বারা সম্মানিত করেছেন। আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কখনোই আমরা বরকতময় এ ভূমি ত্যাগ করব না।’
৮৩ বছর বয়সী শায়খ ইকরিমা সাবরি ইসরাইলের এই নিষেধাজ্ঞাকে অন্যায্য, বেআইনী ও ধারাবাহিক নিপীড়নের অংশ আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পবিত্র নগরী আল কুদস (জেরুসালেম) ও মসজিদুল আকসা সম্পর্কে তার যে অবস্থান এ নিষেধাজ্ঞা তা পরিবর্তন করতে পারবে না।’
তার মতে ইসরাইল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির ডান-কট্টরপন্থীদের সন্তুষ্ট করতে।
শায়খ ইকরিমা সাবরির আইনজীবি হামজাহ কুতাইনাহ বলেন, শায়খের দেশত্যাগে বাধা তার ওপর ধারাবাহিক নিপীড়ন ও হয়রানির অংশ। হামজাহ ইসরাইলের এই সিদ্ধান্তকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও মানবতা বিরোধী আখ্যায়িত করেছেন।
এর আগে স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য সত্যিকারের হুমকি’ বিবেচনা করে বয়োবৃদ্ধ এই আলেমকে নিষেধাজ্ঞা দেয় অবৈধ দেশটি। এদিন ইসরাইলি গোয়েন্দারা দখলদার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইলেদ সাকেদ স্বাক্ষরিত সিদ্ধান্তটি শায়খের কাছে হস্তান্তর করে। তাতে শায়খ সাবরিকে চার মাস দেশত্যাগে বিরত থাকতে বলা হয়। নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে বলা হয়- তিনি ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য সত্যিকারের হুমকি’ তৈরি করতে পারেন।
সূত্র: আলজাজিরা
এনটি