আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আক্রমণ না করেই যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে ‘দাস’ বানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইমরান খান। জনগণ ‘আমদানি করা সরকার’ মেনে নেবে না বলেও মন্তব্য করেন পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত এই প্রধানমন্ত্রী।
গত মাসে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া ৬৯ বছর বয়সী ইমরান খান। যদিও ইমরানের অভিযোগ, ক্ষমতায় থাকাকালে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের জন্য বিরোধীদের সহায়তায় তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হয়েছে, যার মূল পরিকল্পনাকারী যুক্তরাষ্ট্র।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে বেশ কয়েকটি জনসভা করেছেন ইমরান খান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারকে ‘বিশ্বাসঘাতক এবং দুর্নীতিবাজ শাসক’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
রোববার (১৫ মে) পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ফয়সালাবাদে এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে ইমরান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে আক্রমণ না করেই তার দাস বানিয়েছে। পাকিস্তানের জনগণ কখনোই আমদানি করা সরকার মেনে নেবে না। যুক্তরাষ্ট্র একটি আত্মকেন্দ্রিক দেশ, যে নিজের স্বার্থ না দেখে অন্যকে সাহায্য করে না।’
পাকিস্তানের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও তার বাবা আসিফ আলী জারদারিকেদুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে বিশ্বজুড়ে সম্পদ লুকিয়ে রাখার জন্য তাদের অভিযুক্ত করেন ইমরান খান। তিনি বলেন, যেহেতু বিলাওয়ালের সমস্ত সম্পদ দেশের বাইরে, তাই সে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বিরক্ত’ করার সাহস দেখাবে না। সেটি করলে সবকিছু হারাবেন তিনি।
এর আগে শনিবার (১৪ মে) শিয়ালকোটে এক সমাবেশে ক্ষমতাচ্যুত এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার জীবন কেড়ে নেওয়ার ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে। এই আশঙ্কা তিনি আগেই করেছিলেন। কিন্তু এখন তার কাছে এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
এই ষড়যন্ত্রের পেছনে যারা জড়িত, তাদের একটি ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে এবং সেটি নিরাপদ স্থানে সংরক্ষিত আছে। যদি তার কিছু হয়, তাহলে তার ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করবেন বলে জানান পিটিআই চেয়ারম্যান।
ইমরান বলেন, ‘তারা (নির্দিষ্ট না করেই) আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে। এ কারণেই আমি এই ভিডিওটি রেকর্ড করেছি। কারণ, আমি যা করি, তা রাজনীতি হিসেবে বিবেচনা করি না। তবে এটি আমার কাছে জিহাদ।’
-এটি