আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নির্বাচনের তারিখ না দিলে কঠিন পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইমরান খান। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশজুড়ে একের পর এক সমাবেশ করছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান।
সম্প্রতি মারদানের সমাবেশে বিশাল জনসভায় জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা না হলে সরকারকে কঠিন পরিণতির মুখে পড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইমরান খান। তিনি বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা না হলে ইসলামাবাদ অভিমুখে 'জনসমুদ্র' রওনা হবে, যা সরকারের জন্য ধ্বংসাত্মক হবে।
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে ইমরান খান বলেন, 'এখান থেকে আমি দুর্নীতিবাজ–দুর্বৃত্তদের একটি বার্তা দিচ্ছি...অভিযুক্তদের আরও শোনা উচিত—দেশের বিষয়ে তোমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না, জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কারা পাকিস্তান শাসন করবে।'
সেনাবাহিনীকে ইঙ্গিত করে ইমরান খান বলেন, 'যারা নিজেদের নিরপেক্ষ দাবি করে', তাদের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে, এ কথা বলার জন্য তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী শওকত তারিনকে বলেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা এই ষড়যন্ত্র ঠেকায়নি। ইসলামাবাদ মার্চকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করতে দেশজুড়ে সমাবেশ করছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
গত ৮ মার্চ পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করে বিরোধী দলগুলো। গত ২৮ মার্চ জাতীয় পরিষদে আলোচনার জন্য অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাব উত্থাপনের পর তা নিয়ে পার্লামেন্টে ভোট প্রদানের তারিখ বেশ কয়েকবার পিছিয়ে দেয়া হলে গেল রবিবার তা খারিজ করে দেয় ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি।
এরপরই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট। অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের দিনই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শুনানি গ্রহণ করে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এরপর সংসদে অনাস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান ইমরান খান। দেশটির ৩৪২ সদস্যের সংসদের ১৭৪ জনই ইমরান খানের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।
অনাস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানের সাত দশকের কোনো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণ করতে না পারার ইতিহাসের অংশ হয়েছেন সাবেক এ পাক ক্রিকেট তারকা।
-এটি