আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চলতি সপ্তাহেই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপক্ষে। প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে তার বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপক্ষের পদত্যাগের পর তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। -খবর রয়টার্সের
বুধবার (১১ মে) গোতাবায়া বলেন, ২২৫ আসনের পার্লামেন্টের নেতৃত্ব দেবেন নতুন একজন প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভা। এছাড়া পার্লামেন্টকে আরও ক্ষমতা দিতে সাংবিধানিক সংস্কারেরও অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
লঙ্কান প্রেসিডেন্ট বলেন, চলমান সংকটের সুরাহা করতে নতুন সরকার গঠনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশ যাতে বিশৃঙ্খলায় পর্যবসিত না হয়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হলে সরকারের যেসব কার্যক্রম স্থগিত আছে, তাও পুরোদমে চালু করা হবে।
এর আগে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পি. নন্দালা উইরসিঙ্গী বলেন, দেশে যতি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে না আসে, তবে তিনি পদত্যাগ করবেন।
দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট থেকে বাঁচাতে গেল মাসে তাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হাঙ্গামা বন্ধে একটি স্থিতিশীল সরকার অপরিহার্য।
নন্দালা উইরসিঙ্গী জানান, আমি প্রেসিডেন্ট ও অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে যদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে না আসে, তবে আমি পদত্যাগ করব। কারণ এছাড়া কে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা করছেন, তাতে কিছু যায় আসে না। কেবল রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসলেই সংকটের সমাধান সম্ভব।
তার মতে, অস্থিতিশীলতা দূর করতে না-পারলে অর্থনৈতিক অবনতি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না।
ভারত মহাসাগরীয় দেশটির চলমানের সংকটের জন্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও তার পরিবারকে দায়ী করছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় পাঁচ কোটিতে নেমে এসেছে।
এতে অধিকাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি বন্ধ রয়েছে। জ্বালানি, রান্নার গ্যাস, ওষুধসহ অনেক অপরিহার্য পণ্যের চরম ঘাটতি দেখা দিয়েছে। গেল একমাসেরও বেশি সময় ধরে শ্রীলঙ্কায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়েছে। কিন্তু চলতি সপ্তাহে সাধারণের মানুষের ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছে।
বিক্ষোভকারীদের একটি শিবিরে সরকারপন্থীদের হামলার পর দেশজুড়ে সংঘাত শুরু হয়ে গেছে। এতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। পদত্যাগের সময় তিনি বলেন, একটি নতুন ঐক্য সরকার দেশ শাসন করবে বলে আশা নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ছেন।
-এএ