আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের দ্বিতীয় দিন সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ জেলায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন।
এর মধ্যে রংপুরে ৫ জন, পঞ্চগড়ে ৩ জন, মাদারীপুরে ৩ জন, চট্টগ্রামে ২ জন, বরিশালে ২ জন, ঝালকাঠিতে ২ জন, কুষ্টিয়াতে ২ জন, পাবনায় ১ জন এবং শেরপুরে ১ জন নিহত হয়েছে।
রংপুরের পাগলাপীরে মাইক্রোবাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে মারা গেছেন ৫ জন। আহত হয়েছেন ৩ জন। পঞ্চগড়ের অমরখানা মডেল হাট এলাকায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ২ জন এবং হাসপাতালে নেয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মাদারীপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মোল্লাকান্দিতে বাস চাপায় ভ্যানের ৩ যাত্রী নিহত হয়েছেন। কুষ্টিয়ার খোকসায় পিকাপভ্যানের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষে মারা গেছেন দুই ভাই। দুর্ঘটনায় অটোরিকশার চালকসহ আহত হয়েছেন তিনজন।
বরিশালের দপদপিয়া এলাকায় এবং ঝালকাঠির নলছিটিতে থ্রি-হুইলারের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা গেছে ৪ মোটরসাইকেল আরোহী। গুরুতর ১ জনকে পাঠানো হয়েছে ঢাকায়।
চট্টগ্রামের মীরের সরাইয়ে এনা পরিবহনের বাস উল্টে নিহত হয়েছেন দুইজন, আহত হয়েছেন তিনজন। বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে কমলদহ এলাকায় চিটাগাং শিপিং লিমিটেড সংলগ্ন এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি উল্টে যায় বলে হাইওয়ে পুলিশ জানায়।
এ ঘটনায় কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি এলাকার হুমায়ন কবীরের ছেলে মো. ফয়সাল (১৯) এবং চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার মোজাফফরাবাদ এলাকার স্বপন আচার্য্যর ছেলে শান্ত আচার্য্য নিহত হন।
এছাড়া পাবনার সুজানগরে মাইক্রেবাসের সঙ্গে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে এক স্কুলছাত্র নিহত এবং ২ জন আহত হয়েছে। বুধবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার কুঁড়িপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে সুজানগর থানার ওসি আব্দুল হান্নান জানান।
মৃত তিহাম (১১) সুজানগর উপজেলার রাইপুর এলাকার শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের ছেলে। তিহামের দুই ভাই সিফাত ও তাহাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফাঁকা রাস্তা থাকায় এবং যানবাহনের অনিয়ন্ত্রিত গতির কারনে এসব দুর্ঘটনা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
-এটি