আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারিতে টানা দুই বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শোলাকিয়ার ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম ও পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, ঈদ জামাত উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দফায় দফায় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন করছেন।
এবার নিরাপত্তার বিবেচনায় রেখে মুসল্লিদের ছাতা ও মোবাইল ফোন নিয়ে ঈদগাহ মাঠে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। মাঠে কেবল জায়নামাজ নিয়ে প্রবেশ করা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য মাস্ক পরতে হবে।
জেলা প্রশাসক শামীম আলম বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত দুইবছর শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়নি। গত দুই বছর এখানে ঈদ জামাত না হওয়ায় এবার সকল রেকর্ড ভেঙে মুসল্লির সংখ্যা অনেক বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, পুরো মাঠকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন নজরদারির জন্য বাইনোকুলার ছাড়াও ৪টি ড্রোন উড়বে শোলাকিয়ায়। নিরাপত্তা পরিকল্পনায় প্রথমবারের মতো যুক্ত করা হয়েছে এক্সিট ও এন্ট্রি পয়েন্ট।
ঈদগাহ ময়দানের প্রবেশপথে স্থাপিত আর্চওয়েতে তল্লাসি করা হবে মুসল্লিদের। এর আগে অন্তত তিন দফা মেটাল ডিটেক্টরের মুসল্লিদের দেহ তল্লাসি করা হবে।
পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, শোলাকিয়া মাঠ ও মাঠের আশপাশের এলাকায় ড্রোনে পর্যবেক্ষণ ছাড়াও ঈদগাহ ময়দানের বাইরে, ভেতরে ও প্রবেশ পথে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
ঈদগাহ ময়দান, আশেপাশের এলাকা এবং অলিগলিসহ মাঠ সংলগ্ন চারপাশের অন্তত দুই কিলোমিটার এলাকা নিয়ে আসা হচ্ছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় আওতায়। মাঠে স্থাপন করা হয়েছে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার। এর চারটিতে পুলিশ বাহিনী ও দুইটিতে র্যা ব বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়ে ঈদজামাতের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা তদারকি করবেন।
এরই মধ্যে মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে পুলিশ। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শহর এবং আশপাশের এলাকায় বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। বিজিবি, র্যা ব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান, আরআরএফসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেড় হাজারেরও বেশি সদস্য দিয়ে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হচ্ছে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানকে।
এনটি