মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ।।
দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর আমাদের সামনে এসেছে আনন্দময় ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতর হলো মুসলমানদের জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে নির্ধারিত বছরের দুটি আনন্দের দিনের একটি। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দিনে সাহাবাদের ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছেন, "জেনে রেখ! প্রত্যেক জাতি গোষ্ঠীর জন্যই আনন্দের দিন রয়েছে, আমাদের মুসলিমদের আনন্দের, খুশির দিন হলো, এ দিন তথা ঈদুল ফিতরের দিন।"
ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই মানুষের অন্তরে দোলা দিয়ে যায় খুশির তরঙ্গ। এটাতো আমরা সবাই জানি।
এবার দেখার বিষয় হলো, এ আনন্দ কি কেবল বিত্তশালিদের জন্য? দামিদামি পোশাক কেনার সাধ্য আছে যাদের ঈদের আনন্দ কি কেবল তাদের? আর শুধু আপনজনদের নিয়ে আমোদ ফূর্তি করার জন্যই কি এ দিন এসেছে?
নিশ্চই না! ঈদ সকলের। এ দিনের খুশি আনন্দ ধনীদের মতে গরীবদের জন্যেও সমান ভাবেই এসেছে। আর একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের ঈদআনন্দ শুধু পরিবারের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। বরং আমাদের উচিত হলো, এ আনন্দকে পাড়া-পড়শী, ও পাশাপাশি সমাজের হতদরিদ্র, ইয়াতিম, মিসকিন সবার মাঝেই এবং সর্বত্রেই ছড়িয়ে দেওয়া।
এ অসহায় দরিদ্র লোকগুলো তো সর্বদাই বঞ্চনার কষাঘাতে জর্জরিত থাকে। ছেঁড়া ফাটা জামা গায়ে কিংবা খালি গায়ে, ক্ষুধার্ত পেটে কাটিয়ে দেয় বছরের সবকটি দিন। আজকের এ মহান খুশিরদিনে না হয় তারা একটা নতুন জামা পরুক। বসুন্ধরা সিটি মার্কেট, কিংবা যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে নয়; ফুটপাত থেকে দু'-আড়াইশ' টাকার একটা নতুন জামা দিয়ে হলেও এদিনের কষ্ট আর দারিদ্র্যভাবকে একটু চাপাদিয়ে রাখুক! এ ঈদের দিনে পেটভরে একবেলা খেয়ে ফুটন্ত ফুলের মতো একটু হাসুক!
বলুন তো এটা কি কোন অসম্ভব বিষয়? না, এটা একদমই অসম্ভব কোন বিষয় না। আমরা নিজ জায়গা থেকে সমাজের হতদরিদ্র লোকদের প্রতি আমাদের করুণার যৌথ হাত বাড়ালেই এটা সহজ, সম্ভব। তাহলে আসুন না, আমরা সাধ্যানুযায়ী সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের প্রতি দানের হাত বাড়িয়ে ঈদের আনন্দকে রঙিন করে তুলি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সহায় হোন। আমীন!
এনটি