আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: হাফেজ্জী সেবা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো রমজানে সারা মাসব্যাপী চলছে দুস্থ, অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত ও এতিমদের মাঝে ইফতার বিতরণ কার্যক্রম। যা রমজানের শুরুর দিন থেকে এই পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে। প্রতি রোজাদারের জন্য ইফতারির মেনুতে প্রতিদিন থাকে এক প্যাকেট রান্না করা মুরগীর তেহারি ও তিনটি খেজুর। যা একজন রোজাদারের একবেলার আহারের জন্য যথেষ্ট।
হাফেজ্জী সেবা ফাউন্ডেশনের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নওমুসলিম মুহাম্মাদ রাজের ব্যবস্থাপনায় এবং একজন আল্লাহর বান্দার সহযোগিতায় চলে এ কার্যক্রম।
মুহাম্মদ রাজ জানান, সমাজের সব শ্রেণীপেশার অসহায় রোজাদারদের সম্মানার্থে আমরা এ ইফতারির আয়োজন করে থাকি। যা আমরা কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি। আমাদের শায়েখ ঢালকানগরের পীর মুফতি জাফর আহমাদ সাহেবের পরামর্শে অন্যদের মত আমরা আমাদের সেবা কাজের কোনো প্রচার,ছবি বা ভিডিও করি না। একান্ত প্রয়োজনে আমরা ছবি তুললেও মুখ ঢেকে দেই এবং ভিডিওতে দাতা বা গ্রহিতা কারোরই চেহারা রাখিনা। তবুও আল্লাহ অভাবনীয় বরকত দেন আলহামদুলিল্লাহ।
প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহসিন বিন মুঈন জানান রমজানের বাইশ দিনে আমরা ঢাকার বিভিন্ন যায়গা প্রায় ৬৫৩০ জন রোজাদারের কাছে ইফতারি পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছি। রমজানের প্রথম দশকে প্রতিদিন ৩০০ জন,দ্বিতীয় দশকে প্রতিদিন ২৮০ জন এবং একুশ ও বাইশ রমজানে যথাক্রমে ৩৫০ ও ৩৮০ জনকে ইফতারি করানো হয়েছে। তারমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন বস্তি,রিক্সা গ্যারেজ,ফুটপাতের দোকানদার,ফ্লাটের দারোয়ান যারা বরাবরই অবহেলিত, এতিমখানা ও নওমুসলিমদের হাতে পৌঁছে দিয়েছি ইফতারি। আর ঢাকার বাইরে সারা দেশের বিভিন্ন যায়গায় সাড়ে তিন হাজার রোজাদারকে করানো হয়েছে ইফতারি।
এছাড়া ২১ শে রমজান জাতীয় প্রেসক্লাবে মাননীয় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আমরা ইফতার মাহফিল করেছি দেশের বরেণ্য সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনদের নিয়ে।
হাফেজ্জী সেবা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেন, এ আয়োজনের প্রতিদিনের রান্না হচ্ছে নুরানী তালিমুল কুরআন বোর্ডে। সেখান থেকে ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা প্যাকিং করে নিয়ে যান বিতরণ পয়েন্টে।রোজাদারদের কষ্টের কথা চিন্তা করে ইফতারি পৌঁছে দেয়া হয় তাদের হাতে।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে চারশত পরিবারকে দেয়া হয়েছে রমজানের বাজার।যার প্রতিটি ব্যাগে ছিলো প্রায় ৪০ কেজি বাজার সামগ্রী। আগামীতেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০০ পরিবারকে দেয়া হবে ঈদ বাজার ও ঈদের নতুন পোষাক।
ফাউন্ডেশনের দায়িত্বশীলরা সর্বসাধারণকে সেবামূলক কাজে এগিয়ে আসার আহবান করেন।
-কেএল