আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ ইরানের পারমাণবিক প্রকল্প ঠেকানোর জন্য একটি আঞ্চলিক জোট গঠন এবং গোয়েন্দা সহযোগিতা সম্প্রসারণের আহ্বান জানিয়েছেন।
ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট পলিসি ফোরামে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এই আহ্বান জানান। সভায় ইসরায়েল, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মরক্কো এবং মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। ‘ইরান এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা’ ছিল আলোচনার মূল বিষয়। জেরুজালেম পোস্ট।
গ্যান্টজ বলেছেন, ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাচ্ছে এবং ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধকরণের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে, যা পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য উপযুক্ত। ইরানের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তির ফাঁক-ফোকর বন্ধ করা দরকার।
ইউক্রেনের যুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপ ব্যবহার করছে। কিন্তু সামরিক বিকল্পগুলোর ব্যাপারে তারা খুবই সতর্ক।
তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, আমরা আমাদের গোয়েন্দা সহযোগিতা বাড়াচ্ছি। আমাদের একটি গোয়েন্দা জোট তৈরি করতে হবে, যা ইরানের বিরুদ্ধে কাজ করবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড গ্যান্টজের প্রস্তাবকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সঠিক মডেল বলে অভিহিত করেছেন।
গ্যান্টজ বলছেন, আঞ্চলিক দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি ইসরায়েলকে আক্রমণাত্মক ক্ষমতা বাড়াতে হবে। অন্যান্য দেশে পরিচালিত ইরানের আঞ্চলিক কার্যকলাপকে বাধা দিতে হবে। আমাদের প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতা বাড়াতে হবে। দীর্ঘকাল ধরে জিম্মি ইরানি জনগণের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে।
গ্যান্টজ শ্রোতাদের উদ্দেশে বলেন, আমেরিকানদের সাথে গোয়েন্দা সহযোগিতা সম্প্রসারণের পাশাপাশি আঞ্চলিক গোয়েন্দা জোট গঠন করতে হবে। কারণ ইরান উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর জন্যও হুমকিস্বরূপ।
গত ফেব্রুয়ারিতে সেন্টকম কমান্ডার লে. জেনারেল মাইকেল কুরিলা বলেছিলেন, মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডে ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্তির ফলে নানা হুমকি সৃষ্টি হয়েছে। এর বিরুদ্ধে একটি আঞ্চলিক সমন্বিত আকাশ এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সম্ভাবনা বাড়িয়েছে।
ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে সেপ্টেম্বরে মার্কিন ইউরোপীয় কমান্ড থেকে সেন্টকমে স্থানান্তরিত হয়েছে। এটি এমন একটি পদক্ষেপ, যা এই অঞ্চলে আমেরিকান সৈন্যদের সাথে সহযোগিতাকে সহজতর করবে এবং আরব দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে এমন একটি আঞ্চলিক জোটের সম্ভাবনাও তৈরি করতে পারে।
গত বছর ইসরায়েলি এফ-৩৫এস দুটি ইরানি শাহেদ ১৯৭ ড্রোন ভূপাতিত করেছিল। যেগুলো ইহুদি রাষ্ট্রের দিকে যাচ্ছিল। ইসরায়েলের সীমানার বাইরে ড্রোনগুলো ভূপাতিত করা হয়েছিল তা একটি আঞ্চলিক দেশের সশস্ত্র বাহিনী সংগ্রহ করে ইসরায়েলে পাঠিয়েছিল।
-এটি