আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভৌগোলিক অবস্থানের উপর ভিত্তি করে বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় সেহরি ও ইফতারের সময়সূচিতে ভিন্নতা আসে। সেটি দেশ থেকে দেশ ভিন্ন হতে পারে আবার একই দেশের ভেতর বিভিন্ন এলাকার সময়সূচিতেও ভিন্নতা আসতে পারে। তেমনি বাংলাদেশেও বিভিন্ন জেলায় সেহরি ও ইফতারের সময়সূচিতে তারতম্য ঘটে।
এ বছরের প্রথম দিনের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচিতে দেখা গেছে— ঢাকার চেয়ে ১২ মিনিট বেশি সময় রোজা রেখেছেন দেশের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ের মানুষ।
গত রোববার (৩ এপ্রিল) প্রথম রোজার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি অনুযায়ী ঢাকায় সেহরির শেষ সময় ছিল ৪.২৭ টা। ঢাকায় ইফতার হয়েছিল ৬.১৯-এ। এদিকে পঞ্চগড়ে প্রথম দিন সেহরির শেষ সময়ে ঢাকার সাথে মিল (৪.২৭টা) থাকলেও ইফতার হবে ৬.৩১-এ। সেই হিসেবে ঢাকার চেয়ে ১২ মিনিটি বেশি রোজা রাখছেন এ জেলার মানুষ।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় পঞ্চগড়ের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে। এ জেলার অনেক মানুষই— পাথর ভাঙা, প্রক্রিয়াকরণ, চা বাগানে পরিচর্যার কাজ, চা-পাতা সংগ্রহ, চা কারখানায়, ভবন নির্মাণ ও কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এই গরমে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের এসব মানুষদের জন্য রোজা রাখাটা একটু বেশিই কষ্টকর।
পাথরের বেলচা মারার কাজ করেন রাজা হোসেন। তিনি বলেন, বর্তমানে দৈনিক হাজিরা হিসেবে কাজ করছি। রমজানে রোজা রেখে ক্লান্ত শরীরে কোনমতে ধৈর্য সহকারে কাজ করছি।
আবদুল খালেক নামের এক চা শ্রমিক বলেন, বর্তমানে বাগানগুলোতে সার, পানি দিতে হচ্ছে। রোজা রেখে বাগানে কাজ করছি। শুনেছি এবার নাকি রোজা সময় দীর্ঘ হবে। আল্লাহর রহমতে কষ্ট হলেও রোজা করতে হবে।
ইসলামিক ফাউণ্ডেশন পঞ্চগড়ের উপপরিচালক মো. শামীম সিদ্দিক বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালাকে রাজি-খুশি করার জন্য সিয়াম পালন করে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে পঞ্চগড়বাসী দীর্ঘ সময় রোজা পালন করেন। ভৌগোলিক অবস্থানের উপর নির্ভর করে কম বা বেশি সময় ধরে রোজা রাখেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা। একই কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় কম বা বেশি সময় ধরে রোজা রাখতে হয়। সেজন্য রোজা রাখার সময়ের পার্থক্য হয়ে থাকে।
এনটি