নাসিম ইমরান: শক্তির একমাত্র মাধ্যম হার্ড পাওয়ার বা সামরিক শক্তি, এমন ধারণা বিদায় করে সফট পাওয়ার নিজের অবস্থান শক্ত করেছে অনেক আগেই। ২০০৩ সালে Joseph Nye (১৯৩৭-) এর স্মার্ট পাওয়ারের ধারণা প্রণয়নের মাধ্যমে পূর্ণতা পায় সফট পাওয়ার।
Joseph কূটনীতি, প্রতিরক্ষা এবং উন্নয়নের বুদ্ধিবৃত্তিক সমন্বয়কে স্মার্ট পাওয়ার হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। অর্থাৎ হার্ড পাওয়ার ও সফট পাওয়ারের সমন্বয় করাই হলো স্মার্ট পাওয়ার। ফলে সামরিক শক্তিতে সীমাবদ্ধ না থেকে শক্তির উৎস হিসেবে বিবেচিত হয় আরও অনেক মাধ্যম।
ইতিহাসে স্মার্ট পাওয়ারের ব্যবহার অনেক আগে থেকেই দেখা যায়। হুদাইবিয়া চুক্তির ভিত্তিতে বিনা যুদ্ধে মক্কা বিজয় যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
বর্তমান সময়ে শক্তির একটি অন্যতম প্রধান উৎস মিডিয়া শক্তি। মিডিয়া শক্তির প্রভাবে হিজাব অবমাননা ইস্যু ব্যপকতা পায় না, যেমন ব্যপকতা পায় টিপ ইস্যু। ইতিমধ্যে মিডিয়ার শক্তি সম্পর্কে সচেতন সবাই অবগত।
মিডিয়া শক্তির গুরুত্ব ও শূন্যতা অনুভব করে ইসলামি অঙ্গনের অনেকেই মিডিয়া শক্তি অর্জনে আগ্রহী হয়ে কিছু কাজ শুরুও করেন কিন্তু রাষ্ট্র পক্ষের চাপ, ডিজিটাল আইনের ব্যাড়াজাল ও আরও কিছু কারণে কাঙ্খিত ফল অর্জনে ব্যর্থ হয়। অতঃপর অনেকই সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে ঝুকে পড়ে, কিন্তু জাতিয় জীবনে বিভিন্ন ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়া কতোটা প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম তা প্রশ্নবিদ্ধ। সেই সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণও অন্যের হাতে, রিচ কমিয়ে দেয়া বা নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ করে দেওয়া সম্পর্কে সবাই অবগত। আর যারা মূল ধারার মিডিয়ায় রয়েছেন, ইচ্ছে স্বাধীন কথা বলতে অক্ষম ফলে প্রভাব বিস্তারকারি হয়ে উঠতে পারেনি। এ সমস্যা সম্পর্কে অবগত হলেও প্রশ্ন হচ্ছে এর সমাধান কী???
সমাধান কি হতে পারে? এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় কি? জানতে বিস্তর গবেষণা ও বুদ্ধিজীবীদের মতামত প্রয়োজন। কম্পিউটার বিজ্ঞানে দক্ষতা অর্জন ও হ্যাকিং এক্সপার্টিং এ সমস্যা সমাধানের অন্যতম মাধ্যম হওয়ার সম্ভাবনা রাখে।
লেখক: শিক্ষার্থী, গবেষণা বিভাগ, মাহাদুল ফিকরি ওয়াদদিরাসাতিল ইসলামিয়া ঢাকা।
-কেএল