রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মাদরাসা প্রাঙ্গণে মহিষের খোঁয়াড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার খোশনদী দাখিল মাদরাসার প্রাঙ্গণেই মহিষের খোঁয়াড়! দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে অনেক শিক্ষার্থী বহুদিন ধরেই শ্রেণি কক্ষে উপস্থিত নেই বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মহিষের মালিককে বলার পরও খোঁয়াড় স্থানান্তর না করায় দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।

মাদরাসার শিক্ষক কর্মচারীরা জানান, দ্বিতীয়বার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে প্রতিষ্ঠানটি দেওয়ানপুর গ্রামে স্থানান্তর করা হয়। ২০১০ সালে ওই গ্রামের একাধিক দাতার জমিতে মাদরাসার কার্যক্রম শুরু হয়।

২০২০ সালে মাদরাসার অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ হয়। মাদরাসা ভবনের সামনের ৮ শতাংশ জমির মালিক স্থানীয় মো. নুরুল হক। সেই জমিতেই তিনি গড়ে তুলেছেন তার ৮-১০ টি মহিষের জন্য খোঁয়াড়।

প্রতিদিন এসব মহিষের মলমূত্র ও আবর্জনার পচা দুর্গন্ধ চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। আশেপাশের বসতি মানুষজনও ভোগান্তির শিকার মহিষের খোঁয়াড়ের দুর্গন্ধের কারণে। অভিযোগ রয়েছে, এমন পরিবেশের কারণে প্রতিষ্ঠানে এ বছর কোনো নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। অনেক শিক্ষার্থী অন্যত্র চলেও গেছে।

নাম গোপন রাখার শর্তে মাদরাসার এক কর্মচারী জানান, উক্ত জমি মাদরাসার জন্য ক্রয় করতে চাইলেও নুরুল হক বিক্রি না করে বরং সেখানে মহিষের খোঁয়াড় করেন। করোনাকালীন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিষয়টি নিয়ে কেউ বাধা দেয়নি। পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর নতুন ভবনে ক্লাস হস্তান্তর হলে তাকে মহিষের খোঁয়াড় সরানোর জন্য বলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এতে তিনি প্রথমে অপারগতা প্রকাশ করেন, পরে অন্যত্র জমি কিনে দেওয়ার শর্ত দেন।

প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক মনোয়ারা বেগম জানান, প্রতিদিন মহিষের মল-মূত্রের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ ছেলে মেয়েরা। এখানে ক্লাস করাই দুষ্কর। অনেকে অসুস্থ হয়ে হাঁপানি সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেক ছাত্র ছাত্রী দুর্গন্ধের কারণে ক্লাসে আসে না।

স্থানীয়রা জানান, খোঁয়াড়ের দূষিত বর্জ্যে ছড়াচ্ছে রোগ-জীবাণু। বারবার মহিষের মালিককে বলার পরও সে নিয়মিত আঙিনা পরিষ্কার করছে না। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ দুইদিন আগে শ্রমিক দিয়ে এসব গোবর পরিষ্কার করেছে।

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের সুপার মাওলানা রফিকুল ইসলাম জানান, এই কারণে প্রতিষ্ঠানে ক্লাস করা দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা বারবার জমির মালিককে খোঁয়াড় সরানোর জন্য বললেও তিনি তা শুনছেন না। অন্যত্র জমি কিনে দেওয়ার শর্ত দেয় সে।

ইউএনও মরিয়ম বেগম জানান জানান, বিষয়টি জানা ছিলো না। এখন খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি এমন কোনো কিছুই থাকতে পারবে না যা শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর