শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


দারিদ্র্য বিমোচনে আমরা কী করতে পারি?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাসুম পারভেজ

দেশে যাকাত ভিত্তিক গনতন্ত্র চালু করলে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত করা যাবে মাত্র কয়েক বছরে। যাকাত একটি আর্থিক ইবাদত।নেছাব পরিমান মাল হলে যাকাত প্রদান করতে হবে। কিন্তু তা প্রদান করতে হবে সঠিক ব্যাক্তিকে এবং সঠিক পন্থায়। আমি ইহা প্রদান সম্পর্কে কিছু কথা বলব।

আমি মনে করি বাংলাদেশের যাকাত প্রদানের ব্যবস্থা যথাযথ নয়। যথাযথ পন্থায় যাকাত প্রদান করতে পারলে সরকারের পক্ষে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত করতে খুব বেশি সময় লাগবে না।

ধরা যাক আমার মহল্লায় ১০০ জন ব্যক্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে ৫০ জন রয়েছে এমন যে যাদের উপর যাকাত ফরজ হয়নি কিন্তু তাদের যাকাতের গ্রহণ করা লাগে না। মানে তারা সচ্ছল। ৩০ জন আছে যারা খুবই দরিদ্র। তাদের জন্য যাকাতের মাল গ্রহণ করা জায়েজ। বাকি রইলো ২০ জন যাদের উপর যাকাত ফরজ।

চাইলে খুব সহজে এ ২০ জন আস্তে আস্তে বাকি ৩০ দরিদ্র মানুষকে সচ্ছল বানাতে পারবে।প্রশ্ন জাগবে কিভাবে? উত্তর টা খুব সহজ, শুধু যাকাত প্রদানে একটু পরিবর্তন আনতে হবে।

সবাই নিজের মন মত শাড়ি লুঙ্গী কিনে একটা লম্বা লাইন ধরে দেওয়া শুরু করে।৩০ জন কে এই শাড়ি লুঙ্গী দিয়ে কি সচ্ছল বানানো সম্ভব? নিশ্চয় না।পরিবর্তন টা এইভাবে আনা দরকার, এই ২০ জন মানুষ আগে একত্রিত হয়ে তাদের যাকাতের মাল একত্রিত করবে। তার পর যদি সমস্ত মাল ওই ৩০ জন মানুষের মধ্য থেকে ৫ জন মানুষকে প্রধান করা হয় তবে সচ্ছলতার একটু আলো দেখবে বলে আমি মনে করি।

এভাবে ৫ জন করে প্রতি বছর সচ্ছলতায় ফিরে আসতে থাকলে মাত্র ৬ বছর লাগবে সবাই সচ্ছল করতে। আর বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত করতে খুব কম সময় লাগবে। শুধু শাড়ি লুঙ্গী কিনে দিতে থাকলে সাড়া জীবনেও ওরা সচ্ছলতায় পা দিতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দিন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ