শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘প্রকৃতপক্ষে ভুল হলে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ’ সিইসিসহ নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনাররা শপথ নেবেন রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হলেন মুন্সিগঞ্জের নিরব ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু বাজারে এলো ইনফিনিক্সের সবচেয়ে স্লিম স্মার্টফোন বৈষম‌বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন: বেঁচে ফেরার আশা করেনি সানিয়াত মুসলিম কমিউনিটি কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার কমিটি গঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন: অর্থের অভাবে অনেক আহতের হচ্ছে না চিকিৎসা কোটি টাকার সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি ফরিদপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ‘কুরআন সবক অনুষ্ঠান’র উদ্বোধন

চরমোনাই ‘হক’ বারবার বলতে হবে কেন?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।।মুফতি শামছুদ্দোহা।।

চরমোনাই ‘হক’ বারবার বলতে হবে কেন? উক্ত প্রশ্নটি একসময় আমারও ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরের বেশ কিছু ঘটনা প্রবাহ ও পক্ষে-বিপক্ষে বাড়াবাড়ি দেখে এবং আমার নিজের সাথে সংগঠিত কিছু পরিচিত ও প্রিয়জনদের আচরণ দেখে একথাকে যথাযথ ও প্রয়োজনীয় মনে হয়েছে। তাছাড়া হক কোন জামায়াতকে পুনরায় হক বললে অসুবিধা কী এটাও আমার বোধগম্য নয়।

পক্ষপাতিদের কারো কারো বক্তব্যে একমাত্র,কেবলমাত্র, শুধুমাত্র হক জামায়াত, হক ও বাতিলের মাঝে পার্থক্যকারী হিসেবে আখ্যা দিতে দেখা যায়,যা লাভের চেয়ে ক্ষতির কারণ হয়।

আবার বিরুদ্ধবাদীদের কারো কারো লেখায় ও বক্তব্যে চরমোনাইকে সুস্পষ্টভাবে বাতিল সাব্যস্ত করার এমনকি তাদেরকে দেওয়ানবাগী, রাজারবাগী ইত্যাদি ভন্ড পীরদের সাথে মিলিয়ে ভন্ড উল্লেখ করতেও দেখেছি। আমার বহু পোস্টে অপ্রাসঙ্গিকভাবেও অনেককে দেখেছি যারা আল্লাহর নামে কসম কেটে এ জামাতকে বাতিল ও ভন্ড উল্লেখ করেছেন।

বিষয়টি আমার সামনে আরো অধিক স্পষ্ট হয়েছে এবার চরমোনাই সফরকে কেন্দ্র করে।' চরমোনাই যাব, চরমোনাই যাচ্ছি ' এমন পোস্ট করার সাথে সাথে একদল আমার উপর হামলে পড়েছে! যাচ্ছেতাই অপবাদ,মিথ্যাচার দেওয়া শুরু করেছে! যেন আমি কোন বাতিল ও ভন্ডদের মাহফিলে যাচ্ছি!!! (ইনশাআল্লাহ এসবের সমুচিত জবাব দিব,ইনশাআল্লাহ)।

তাদের আচার আচরণ ও কার্যক্রমে মনে হয় চরমোনাইকে বাতিল সাব্যস্ত করতে পারলেই যেন তারা সফল। এজন্য অন্য কোন বাতিল নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নাই।

কাদিয়ানী, আহলে কোরান,আহলে হাদিস ও হেযবুতিদের নিয়ে পোস্ট করেও আমি খোচার শিকার হয়েছি!! যেন এসবের চেয়েও চরমোনাই অধিক ক্ষতিকর ও ভয়ংকর!!

চরমোনাই তথা ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের ব্যাপার আমার অবস্থান হল, এটি একটি হকপন্থী জামায়াত। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ'র অন্তর্ভুক্ত।

আমি তাদের হক মনে করি যেমনটা আকাবীর ও আসলাফদের মুখ থেকে শুনেছি এবং নিজেও তাহকীক করে সেভাবেই পেয়েছি। তাই হক মনে করি ও বলি। তবে একমাত্র, কেবলমাত্র, শুধুমাত্র এসব শব্দ ব্যবহার যথাযথ মনে করিনা। বরং এগুলোকে ক্ষতির কারণ মনে করি।

হকপন্থী মনে করার মানে এই না যে তাদের কোন ভুলত্রুটি নেই/ভুলত্রুটির উর্ধে। নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিবর্গ মানুষ হওয়ায় তাদের ভুলত্রুটি হতেই পারে,হয়েছেও। ওইগুলোক সংশোধনের নিয়তে ধরিয়ে দেয়া/সংশোধন করে দেয়া উলামায়ে কেরামের দায়িত্ব।

দায়িত্বশীল শ্রদ্ধেয় অনেক উলামা হজরতদেরকে এ খেদমত করতে দেখেছি। আমি নিজেও বেশকিছু ব্যাপারে অনলাইনে ও অফলাইনে অবগত করেছি। আলহামদুলিল্লাহ। ভালো ফলাফলও পেয়েছি।

আমি সংশোধন প্রত্যাশি কোন জামায়াতকে দূরে ঠেলে দেয়ার পক্ষপাতী নই। এবার মাহফিলেও বারবার স্বয়ং পীর সাহেব হুজুরের মুখে বারবার শুনেছি তিনি উলামায়ে কেরামদের প্রতি আহবান জানিয়ে বারবার বলেছেন, আমাদের কোন ভুলত্রুটি থাকলে তা ধরিয়ে দিন, আমরা শুধরে নিব,ইনশাআল্লাহ।

এমনকি উলামায়ে কেরামদেরকে নিয়ে আলাদা মাজলিস করে সেখানেও একই আহবান জানিয়েছেন। ওই মজলিসে অনেক উলামায়ে কেরাম নিজেদের মনের কথাগুলো প্রাণ খুলে বলেছেন। তারাও সংশোধন হওয়ার ও শুধরে নেয়ার কথা জানিয়েছেন। এরপর আর কি বলার থাকে বলুন?

প্রতিবছর উলামা সম্মেলন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এ সম্মেলনে প্রদত্ত বিভিন্ন বক্তব্য নিয়ে ফেবুপাড়া গরম হয়ে উঠে৷ কারো কারো ব্যক্তিগত বক্তব্য ও মতামতের ভিত্তিতে ইসলামি আন্দোলন ও চরমোনাই পীরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তুলোধুনা করা হয়।

আসলে এ সম্মেলনের বক্তব্য মোটেও নিয়ন্ত্রিত নয়,নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভবও নয়। এখানে কে কি বক্তব্য এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত ও নিজস্ব ব্যাপার।

সুতরাং যারা একথা প্রচার করছেন যে,আয়োজন করে নিজেদের পক্ষে গুণগান গাওয়ানো হয়,হক ঘোষণা করা হয় এইসব ভিত্তিহীন,অমূলক ও ধারণাপ্রসুত কথা। মোটা অংকের হাদিয়া,কিনে ফেলা এসব উলামায়ে কেরামের প্রতি সুস্পষ্ট অপবাদ ও তোহমত। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বাড়াবাড়ি ছাড়াছাড়ি থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। -লেখকের ফেসবুক থেকে নেয়া।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ