আব্দুর রউফ আশরাফ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
চলছে ঋতু রাজ বসন্তকাল। আর এই বসন্তকালে নিজ মনকে একটু আনন্দ দিতে মন চায় উড়তে চলো যাই ঘুরতে এই স্লোগান সামনে রেখে সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ সাদা পাথর এলাকায় ঘুরতে যায় নবীগঞ্জ অনলাইন প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ ও শুভাকাঙ্খীবৃন্দ। রোববার (২০ফ্রেরুয়ারী) সকালে বাস যোগে আনন্দ ভ্রমণের যাত্রা শুরু হয় এবং সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ শহরে পৌঁছার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় ২০২২ সালে আনন্দ ভ্রমণ।
অনলাইন প্রেস ক্লাবের উদ্যােগে আনন্দ ভ্রমণের ৪০ জনের টিম সাথে ছিল। এতে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিকসহ অনলাইন পত্রিকার কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । আনন্দ ভ্রমণের শুভাযাত্রায় সাংবাদিকরা বলেন, ভ্রমণ সবসময়ই আনন্দময় ও স্মৃতিময়। আর যদি দলবদ্ধ ভ্রমণ হয় তাহলে সেই ভ্রমণ হয়ে উঠে আরও প্রাণবন্ত।
স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণে এক প্রাণবন্ত সকাল হয়ে উঠলো মূহুর্তেই। ভ্রমণকে প্রাণবন্ত করতে একঝাঁক তরুণদের সাজাতে টিশার্ট স্পন্সর করেন ( নবীগঞ্জ অনলাইন প্রেস ক্লাবের সভাপতি'র বড় ভাই লন্ডন প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম। ভ্রমণের জন্য বানানো প্রেস ক্লাবের টিশার্ট পরে একসঙ্গে ৪০ জনের ভ্রমণের সফলতা কামনা করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ অনলাইন প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সদস্য আশাহিদ আলী আশা, নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মুরাদ আহমেদ, সাবেক সভাপতি লিমন মিয়া, নবীগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সিনিয়র সহ- সভাপতি শাহরিয়ার আহমেদ শাওন, সাধারণ সম্পাদক আলাল মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ অঞ্জন রায়, দপ্তর সম্পাদক জাফর ইকবাল,
নবীগঞ্জ অনলাইন প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সভাপতি নাবেদ মিয়া, নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী জাবেদ মান্না, নির্বাহী সদস্য ও সিনিয়র সহসভাপতি মোফাজ্জল ইসলাম সজীব, সদস্য জাবেদ ইকবাল তালুকদার, স্বপন রবি দাশ। শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাকির হোসেন, দুবাই প্রবাসী খোকন আহমেদ, বাবর আহমেদ, সাইফুর চৌধুরী, শুইবুর, সেবুল, ঈসা, রাজেশ, বিদ্যুৎ, অমরিত, রাজিব রায়, ওবায়দুর, তানজীদ, নাদিম, ফরহাদ, মোশাররফ, সাবের।
জানা গেছে, ভারতের খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে নেমে আসা ধলাই নদীর পানির সঙ্গে প্রতিবছর বর্ষাকালে নেমে আসে প্রচুর পাথর। ধলাই নদীর তলদেশেও রয়েছে পাথরের বিপুল মজুদ। পাথর উত্তোলন কাজ সহজ করতে ১৯৬৪-১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে রোপওয়ে টাওয়ারগুলো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ছোট ছোট নৌকায় করে পাথর উত্তোলন করে বয়ে নেওয়ার দৃশ্য মুগ্ধ করেছে দেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারি ভোলাগঞ্জের উৎসমুখ সাদাপাথরে সবসময়ই চেরাপুঞ্জি থেকে স্বচ্ছ নীল ও ঠান্ডা পানি নেমে আসে।
-কেএল