কাউসার লাবীব: পদ্মা নদীর তীরের পাশ দিয়ে হাটার সময় পা ফসকে পানিতে পড়ে মাইমুনা খাতুন (১৩) নামে হিফজুল কোরআন বিভাগের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহী নগরীর পদ্মপাড় লালন শাহ্ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নিহত মাইমুনা রাজশাহীর চারঘাটের অনুপমপুর এলাকার ফজলুল হকের মেয়ে। সে রাজশাহীর উপশহর বোয়ালিয়ার শিরোইল শান্তিবাগ এলাকার মাদ্রাসাতুস সুফফাহ আল আরাবিয়াহ’র আবাসিক ছাত্রী ছিলো। এ ঘটনায় অপর আরেক শিক্ষার্থী লুবাইনা (১২)কে অসুস্থ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১২নং ওর্য়াডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখন তার অবস্থা অনেকটা ভাল।
মাদ্রাসাতুস সুফফাহ আল আরাবিয়াহ’র মোহতামীম মাওলানা আরিফুল ইসলাম আওয়ার ইসলামকে জানান, হিফজুল কোরআন বিভাগের ছোটছোট শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকদিন ধরে বায়না ধরছিল পদ্মা পাড়ে হাঁটতে যাবে। আজ যেহেতুল শুক্রবার ছিল তাই আমি সকালে ১২জন ছাত্রী নিয়ে নদীর ধারে হাটতে বের হই।
তিনি জানান, এ সময় আমরা মুক্তমঞ্চ এলাকায় পৌঁছালে মাইমুনা নদীর পানিতে পা ভেজানোর চেষ্টা করলে পা ফসকে পানিতে পড়ে তলিয়ে যায়। এ সময় আমি কিছুটা সামনে ছিলাম তাই খেয়াল করিনি। কিন্তু তার আরো ৫ সহপাঠী পানিতে নেমে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে তারাও তলিয়ে যায়। পরে আমি স্থানীয়রা ৩ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও মাইমুনা ও লুবাইনা নিখোঁজ থেকে যায়।
মাওলানা আরিফুল ইসলাম জানান, মাইমুনা ছিল খুবই নম্রভদ্র ও মেধাবী। ইতোমধ্যে সে ১৪ পারা হিফজ সম্মন্ন করেছিল। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছাড়া নেমে এসেছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে নিখোঁজ ছাত্রীদের সন্ধানে নামে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরির দল। তারা পানির তল থেকে ক্রমান্বয়ে দুই শিক্ষার্থীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক দুজনের মধ্যে মাইমুনাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর ছাত্রী লুবাইনা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এদিকে রাজশাহী মহানগর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মাজাহারুল ইসলাম এ বিষয়ে জানান, মাইমুনার মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা আসলে মরদেহটি তাদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
-কেএল