নুরুদ্দীন তাসলিম।।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষা আইনের বিষয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বেফাকুল মাদারিসিল আরবিয়া ও মাদরাসাগুলোর সর্বোচ্চ অথরিটি আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া দায়িত্বশীলগণ।
আগামী রবিবার সকাল ১১ টায় রাজধানীর কাজলায় অবস্থিত বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার অফিসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এর ঠিক একদিন পর একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে হাইয়াতুল উলইয়ার বৈঠক।
আওয়ার ইসলামকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ-এর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মাওলানা জুবায়ের আহমদ ও হাইয়াতুল উলইয়ার সদস্য মুফতি নুরুল আমিন।
বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ কওমি মাদরাসাগুলোর সর্বোচ্চ অথরিটি হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান ও কওমি মাদরাসার শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান। এছাড়াও আমেলার সদস্যদের আরো অনেকে। তাদের বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
সূত্রমতে, সামনে অনুষ্ঠিতব্য বোর্ড পরীক্ষা, নিজস্ব এজেন্ডাসহ আরো বেশ কিছু বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। সেখানে গুরুত্ব পাবে কওমি মাদরাসার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষা আইনের বিষয়টি।
প্রসঙ্গত, কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা অক্ষুণ্ন রাখার শর্তে ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বরে দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর সমমানের স্বীকৃতি প্রদান করে বাংলাদেশ সরকার। এই আইনে পুরো দেশে দারুল উলুম দেওবন্দের নীতি, আদর্শ ও নিসাব (পাঠ্যসূচি) অনুসরণে পরিচালিত কওমি মাদরাসাগুলোর দাওরায়ে হাদিসের (তাকমিল) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়।
কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তরকে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও এ ক্ষেত্রে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ বা নজরদারির ব্যবস্থা রাখা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, ‘আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর কমিটি তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে সময়-সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পর্যবেক্ষণ নিয়ে শিক্ষা আইনে একটি খসড়া পুনর্গঠন করা হচ্ছে, যাতে কওমি মাদরাসা থাকছে গুরুত্বের সঙ্গে। বলা হচ্ছে, ‘এই আইন সম্পন্ন হলে কওমি শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে’।
সম্প্রতি এ বিষয়টি নজরে এলে নড়েচড়ে বসেন দেশের কওমি মাদরাসাগুলোর সর্বোচ্চ অথরিটি আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কাওমিয়ার নীতি নির্ধারকরা। তারা বলছেন, স্বকীয়তার প্রশ্নে তারা সবসময়ই অনড়।
এনটি