আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নবনির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় শপথগ্রহণ করবেন। একই সঙ্গে ২৭ জন কাউন্সিলর ও ৯ জন মহিলা কাউন্সিলরের শপথও ওইদিন অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ ইসমাত মাহমুদার সই করা এক চিঠিতে তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়রকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। রাজধানীর গণভবন ও ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ শপথ অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মেয়র ছাড়াও ২৭ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনে ৯ জন মহিলা কাউন্সিলর রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৫ মে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা, কদম রসুল পৌরসভা ও সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভাকে বিলুপ্ত করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠনের গেজেট প্রকাশ করে সরকার। ২০১১ সালে সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর এটি ছিল তৃতীয় নির্বাচন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন হয় ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর। এতে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানকে এক লাখেরও বেশি ভোটে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভী।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়রপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী পান এক লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট; তার প্রতীক ছিল দোয়াত কলম। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত শামীম ওসমানের দেয়াল ঘড়িতে ভোট পড়েছিল ৭৮ হাজার ৭০৫ ভোট। ওই নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত তৈমূর আলম খন্দকারের প্রতীক ছিল আনারস; তিনি পান ৭ হাজার ৬১৬ ভোট।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর। দলীয় প্রতীকের এ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে পৌনে ১ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র পদে পুনঃনির্বাচিত হন নৌকা প্রতীকের আইভী।
আইভী পান ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত পান ৯৬ হাজার ৪৪ ভোট।
-কেএল