মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


৮০ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন বেগম খালেদা জিয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রাজধানীর এভারকেয়ার হাসাপাতালে চিকিৎসাধান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরছেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে।

তার শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল হওয়ায় এবং তিনি নিজে বাসায় ফিরতে উদগ্রীব হওয়ায় চিকিৎসকরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

জানা যায়, ইতোমধ্যে খালেদা জিয়াকে বাসভবন ফিরোজায় কর্মরত সবার করোনা টেস্ট করা হয়েছে। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে পুরো বাসভবন।

সংশ্নিষ্ট চিকিৎসকরা জানান, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের রক্তক্ষরণ আপাতত বন্ধ রয়েছে। তাই তাকে বাসভবনে রেখেই চিকিৎসার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। এ জন্য তার বাসাতেই চিকিৎসার প্রাথমিক ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গত ১৩ নভেম্বর রক্ত বমির পরপরই খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ারে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি বিশেষ মেডিকেল টিম তার চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। ৭৭ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী অনেক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

হাসপাতালে ভর্তির পরও তার রক্ত বমিসহ রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এতে তার রক্তের হিমোগ্লোবিন মাত্রাতিরিক্ত কমে যেতে শুরু করে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে রক্ত দিতে হতো তাকে। লিভারের সমস্যার কারণে তার অরুচি, ওজন হ্রাস, জ্বর জ্বর ভাব, শরীরে পানি আসা, খনিজে অসমতাসহ বহু সমস্যা দেখা দেয়। তার শরীরে প্রধান ইলেকট্রোলাইট অর্থাৎ সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্লোরিন উপাদানের পরিমাণ কমে যেতে থাকে। তার ডায়াবেটিসও অনিয়ন্ত্রিত ছিল। কিডনির ক্রিটিনিন বর্ডার লাইনও খারাপ পর্যায়ে চলে যায়।

গত ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ায় খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তিনবার এই রক্তক্ষরণ সামাল দেওয়া গেলেও চতুর্থবার হলে বিপদ ঘটতে পারে। চিকিৎসকরা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে তারা অসহায় বোধ করছেন। বাংলাদেশে এ ধরনের রক্তক্ষরণ সামাল দেওয়ার কারিগরি সুযোগ নেই। চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত দেশের বাইরে নেওয়ার সুপারিশ করেন।

তারা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মানির বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার সুপারিশও করেন। পরিবারের পক্ষ থেকেও বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকারের অনুমতি চাওয়া হয়। সরকার বলেছে, আইনি বাধ্য-বাধকতায় তাকে দেশের বাইরে যেতে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে বিএনপির পক্ষ থকে বলা হয়, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সুচিকিৎসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ