আবদুল্লাহ তামিম
নির্বাহী সম্পাদক>
ভারতের মধ্যপ্রদেশের রতলাম শহরের মানক চক থানায় এক মুসলিমের টুপি মাথা থেকে ফেলে দিয়ে তাকে প্রকাশ্যে মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
আজ শনিবার এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই মুসলিম লোকটির একমাত্র দোষ ছিল রাস্তার পাশে বসে প্রস্রাব করছিল। তথ্যমতে, ঘটনাটি ২৭ জানুয়ারি বিকেলের বলে জানা গেছে।
মধ্যপ্রদেশে প্রতিদিন মুসলমানদের মারধর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় মুসলিমরা। এর আগেও একজন চুড়ি বিক্রেতাকে মারধর করা হয়েছিল। তার পরে একজন কাপড় ব্যবসায়ীকেও মারধর করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে মুসলমান হওয়া অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে ব্যক্তিকে মারধর করা হয়েছে তার নাম সাইফুদ্দিন এবং তার বয়স আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ বছর হবে।
ভাইরাল ভিডিওতে সাইফুদ্দিনকে মারধর করতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজনকে। একই সঙ্গে সাইফুদ্দিনকে বারবার ক্ষমা চাইতে বলা হচ্ছে। তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন, কিন্তু এর জন্য তাকে মারধর করতেই থাকে তারা। তার মাথার টুপি খুলে নামিয়ে রাখতে বলা হয়। টুপিতে লাথি মারতে বলা হয়।
সাইফুদ্দিন বরাবর ধর্মীয় রাস্তাও ব্যবহার করা হতো। এছাড়াও, ভিডিও তৈরির কথা ছিল। ভিডিওতে সাইফুদ্দিনকে বলতে দেখা যায় তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। এখন মারছেন কেন? আশেপাশে কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলেও কেউ হস্তক্ষেপ করেনি।
একই সঙ্গে এ ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণ করে ১ জনের বিরুদ্ধে ৩ ধারায় মামলা দায়ের করে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন এ ধরনের ঘটনা রোধ হচ্ছে না। যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, নাম মাত্র এক সপ্তাহ কারাগারে থাকছেন। জামিন মঞ্জুর হওয়ার সাথে সাথেই তাদের স্বাগত জানাতে মালা নিয়ে পৌঁছছেন বিজেপি নেতারা। এভাবেই নির্যাতন চলছে মধ্যপ্রদেশে। সূত্র: মিল্লাত টাইম হিন্দি
-এটি