মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ইসি গঠন বিল পাস সংসদে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল ২০২২’ পাস হয়েছে জাতীয় সংসদে।

বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন ছাড়ায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে কণ্ঠ ভোটে পাস হয় এ বিল।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশন শুরু হলে বিলটি পরীক্ষার পর এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার।

দীর্ঘ আলোচনার পর বিল সংসদে পাস করতে ভোটে দেন স্পিকার। এখন রাষ্ট্রপতির সই করার পর গেজেট আকারে প্রকাশ হলেই প্রথমবারের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন পাবে বাংলাদেশ।

এ বিলের তীব্র বিরোধিতা করেন জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা। ৫০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই বিল সংসদে আনায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রতি ধন্যবাদ জানান জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। তবে ইসি গঠনে সার্চ কমিটিতে কোনো রাজনীতিক না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

এ দিকে সংরক্ষিত আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন বাধ্যতামূলক। কিন্তু সব অংশীজনের মতামত ছাড়া তাড়াহুড়ো করে এত জনগুরুত্বপূর্ণ একটি আাইন পাস করা আইওয়াশের বেশি কিছু নয় বলে আমি মনে করি।’

এরা আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ বিলে দুটি সংশোধনী দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

গত ২৩ জানুয়ারি সিইসি ও ইসি নিয়োগ বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এর পর বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পাঠানো হয় স্থায়ী কমিটিতে।

আইনমন্ত্রী যে বিলটি উত্থাপন করেছিলেন তাতে বলা হয়েছে, সিইসি ও ইসি হতে গেলে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদে তার কমপক্ষে ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

এ ক্ষেত্রে বিলটি পরীক্ষা করে স্থায়ী কমিটি যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদের পাশাপাশি ‘স্বায়ত্তশাসিত ও পেশা’ যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

আবার অযোগ্যতার অংশে মূল বিলে বলা হয়েছিল, নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ড হলে সিইসি ও কমিশনার হওয়া যাবে না।

এ ক্ষেত্রে দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান উঠিয়ে কারাদণ্ড যুক্ত করার সুপারিশ করেছে স্থায়ী কমিটি। এর ফলে যে কোনো মেয়াদে নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে আর সিইসি বা ইসি হওয়া যাবে না।

এ ছাড়া পাস হওয়া আইনে অনুসন্ধান কমিটিতে রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুই বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী হবেন এমন বিধান রাখা হয়েছে। সার্চ কমিটির কাজ ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। যা সংসদে উত্থাপিত বিলে ১০ কার্যদিবস ছিল।

গত ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা প্রস্তাবিত আইনটির (বিল) খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করে। পরে এ নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে। এমন বাস্তবতায় নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সরগরম দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। ইসি নিয়ে স্থায়ী সমাধানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একাধিক দল সংলাপে অংশ নিলেও যোগ দেয়নি বিএনপিসহ সাতটি দল।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ