আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসবে এবার ফানুস ও আতশবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পৌষ মাসের শেষ দিন পৌষসংক্রান্তির এই অনুষ্ঠান ঘিরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এসংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শুক্রবার পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সাকরাইন উৎসব উদযাপন করা হবে।
ঘুড়ি ওড়ানো, আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোর মধ্য দিয়ে এ উৎসব উদযাপন করা হয়। তবে এ বছর থার্টিফার্স্টে ফানুস পড়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ড ঘটায় সাকরাইন উৎসব নিয়ে সতর্ক অবস্থানে যাচ্ছে পুলিশ। আতশবাজির বিকট শব্দে নগরবাসীর ভোগান্তির বিষয়টিও বিবেচনায় আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সাকরাইন উৎসবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। তারা যাতে এমন উদযাপন না করে, সে জন্য পুরান ঢাকার বিভিন্ন কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গেও কথা বলব। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করা কঠিন। কমিউনিটি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এগুলো বন্ধের উদ্যোগ নিচ্ছি।’
এবার থার্টিফার্স্ট নাইটে ফানুস থেকে অনেক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে সারা দেশ থেকে প্রায় ২০০টি অগ্নিকাণ্ডের খবর আসে ফায়ার সার্ভিসের কাছে। কয়েকটি আগুন আতশবাজির কারণেও হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
এদিকে সাকরাইন উৎসবের আগেই আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো বন্ধের দাবি জানিয়েছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)। একই সঙ্গে অন্তত জনস্বাস্থ্যের বিবেচনায় বিবাহের অনুষ্ঠানসহ সব ধরনের উৎসবে আতশবাজি ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এর ক্রেতা ও বিক্রেতাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রধান ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি জানানো হয়।
-এএ