আবদুল্লাহ তামিম।। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণাত্মক বক্তৃতা তীব্র হয়ে ওঠেছে, এমনকি হরিদ্বার ও দিল্লিতে সাম্প্রতিক সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতেও প্রকাশ্যে ইসলামের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি, দারুল উলুম দেওবন্দের সিনিয়র শিক্ষক আল্লামা আরশাদ মাদানি এসব কথা বলেন। তিনি জমিয়তে হিন্দের নেতাদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন।
আসরে হাজিরের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার যে বিপজ্জনক ষড়যন্ত্র চলছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের গণহত্যা করছে দুঃখজনকভাবে এই দুটি ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
জমিয়তের সভাপতি আল্লামা আরশাদ মাদানির নির্দেশে জমিয়তে উলেমা-ই-হিন্দ এই বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। মাওলানা আরশাদ মাদানি পুরো বিষয়টি নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলে, কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা সমগ্র দেশে একটি অত্যন্ত হতাশাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
একটি গণতান্ত্রিক দেশে যার সংবিধান সকল নাগরিককে সমান অধিকার দেয় এবং সকলের সাথে সমান আচরণের নির্দেশ দেয়, কিছু লোক শুধুমাত্র প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করে না। দেশের বৃহত্তম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নির্যাতন চলছে। এমনকি সংখ্যাগরিষ্ঠদেরকে হত্যার জন্য উসকানি দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে চলছে।
মাওলানা মাদানি আরো বলেন, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত মানুষ ভয় ও আতঙ্কে ভুগছে তবে আমরা বর্তমান পরিস্থিতিতে হতাশ নই যদি দৃঢ় সংকল্প হয়, তাহলে নতুন নতুন হতাশার একই অন্ধকার থেকে আশার মোমবাতি জ্বালানো যায়।
তিনি বলেন, হতাশার কোনো প্রয়োজন নেই, কারণ জীবিত জাতি পরিস্থিতির করুণায় বাঁচে না বরং তাদের কর্ম দিয়েই সবকিছুকে ঘুরিয়ে দেয়।মাওলানা মাদানি বলেন, ভারত আমাদের প্রবীণরা স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং মহাত্মা গান্ধী ও নেহরু প্রমুখ যারা স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন এই ভারত কিছুতেই হতে পারে না।
আমাদের প্রবীণরা এবং মহাত্মা গান্ধী ও নেহেরু প্রমুখ এমন একটি ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে সমস্ত মানুষ উপরে উঠতে পারে এবং শান্তিতে বসবাস করতে পারে। সূত্র: আসরে হাজির
-এটি