আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পাকিস্তানে তুষারপাতে বিধ্বস্ত বহু এলাকা। দেশের উত্তরাঞ্চলে ভারী তুষারপাতের কারণে গাড়িতে আটকা পড়ে অন্তত ২১ জন মারা গেছেন বলে খবর। সামরিক বাহিনী রাস্তা পরিষ্কার করার চেষ্টা করছে এবং মুরি শহরের কাছে এখনও আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছে।
পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ বলেছেন, তুষারঝড়ের সময় প্রায় ১ হাজার গাড়ি হাইওয়েতে আটকে পড়েছিল। মুরি রাজধানী ইসলামাবাদের উত্তরে অবস্থিত পর্বতে ঘেরা একটি শহর। মুরি শহর পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণের কেন্দ্র। সেখানেই শুরু হয়েছে অবিরাম তুষারপাত। ভারী তুষারপাত দেখতে সাম্প্রতিক দিনগুলিতে ১ লক্ষেরও বেশি গাড়ি যাত্রীদের নিয়ে মুরিতে প্রবেশ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এর ফলে শহরের ভিতরে এবং বাইরের রাস্তায় বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ বলেছে যে, যাত্রীদের মধ্যে ৬ জন নিজেদের গাড়িতেই মারা গেছেন, তবে অন্যরা কীভাবে মারা গেছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাকিদের শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই মুরিকে ‘বিপর্যস্ত এলাকা’ বলে ঘোষণা করেছে। আমজনতাকে এই এলাকা থেকে দূরে থাকতে আরজি জানানো হয়েছে। ওই অঞ্চলের আবহাওয়া এখনও প্রতিকূল থাকায় উদ্ধারকাজে গতি আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
শহরে আটকে থাকা এক পর্যটক ফোনে এএফপিকে জানিয়েছেন , ‘এখানে মানুষ একটি ভয়ানক পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। শুধুমাত্র পর্যটকদেরই নয়, স্থানীয় জনগণও গ্যাস এবং পানির সংকটের জেরে গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন’।
রশিদ একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন ,১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো এত বড় সংখ্যক পর্যটক মুরিতে ভিড় করেছিলেন, যা একটি বড় সংকট তৈরি করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পর্যটকদের ‘মর্মান্তিক মৃত্যু’ নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন। খান একটি টুইট বার্তায় বলেছেন,এই ধরনের ট্র্যাজেডি প্রতিরোধ নিশ্চিত করার জন্য তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুরি ১৯ শতকে ব্রিটিশরা তাদের ঔপনিবেশিক সৈন্যদের জন্য একটি চিকিৎসা বেস হিসাবে তৈরি করেছিল।
-কেএল