আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: করোনা মহামারি বদলে দিয়েছে বিশ্ববাসীর চিরচেনা জীবনের গতিপথ। ২০২০ সালে যখন প্রথম লকডাউন আসে অনেকের জীবনেই আসে কিছুটা ঢিলেঢালা ভাব। আবার অনেকে লকডাউনকেই মনে করেছেন জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এক অভাবনীয় সুযোগ। সাফি বিক্রম নিঃসন্দেহে দ্বিতীয় দলে পড়েছেন। কারণ এই লকডাউনে তিনি সম্পন্ন করেছেন ১৪৫টি অনলাইন কোর্স।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়াটাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের কেরালার তিরুবনন্তপুরমের বাসিন্দা সাফি বিক্রম লকডাউনে ওয়ার্ল্ড হেলফ অর্গানাইজেশন ও কোর্সেরাসহ বিভিন্ন অনলাইন লার্নিং প্লাটফর্মে ১৪৫টি কোর্স করেছেন। এসব কোর্সের মধ্যে অধিকাংশই চিকিৎসা সংক্রান্ত।
এ ব্যাপারে সাফি নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, আমি চেয়েছিলাম মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন কোর্স করতে। কিন্তু শেষমেষ চিকিৎসা সংক্রান্ত কোর্স বেশি করেছি। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা স্বপ্নের মতো মনে হতো, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সার্টিফিকেট এখন আমার আছে।
বিভিন্ন বিষয়ে শিখতে পেরে ভীষণ রোমাঞ্চিত বলেও জানিয়েছেন সাফি।
সাফি জানান, লকডাউনে বেকার বসে থাকার পক্ষপাতি তিনি ছিলেন না। তাই ২০২০ সালের জুলাইতে প্রথম অনলাইনে কোর্স করা শুরু করেন।
সাফির বয়স মধ্য পঞ্চাশের কোঠায়। তিনি একসঙ্গে ২০টি কোর্স অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। প্রিন্সটন, ইয়েল, কলম্বিয়া, ওয়ার্টনের মতো বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোর্স করেছেন তিনি। এসব কোর্সের মেয়াদ ছিল দুই দিন থেকে শুরু করে দুই মাসও। সাফির করা বেশির ভাগ কোর্স মেডিকেল সংক্রান্ত হলেও মনোবিজ্ঞান, রোবোটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লকচেইন, ক্রিপ্টোকারেন্সি, ফরেনসিক, খাদ্য ও পানীয় ব্যবস্থাপনা এবং ফিন্যান্স সংক্রান্ত বিভিন্ন কোর্সও করেছেন তিনি।
শফি প্রথমদিকে কাজ শেষে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত পড়াশুনা করতেন। কিন্তু তারপর পড়াশোনায় আরও মনোযোগ দেওয়ার জন্য তিনি একটি শীর্ষস্থানীয় বৈদেশিক মুদ্রা সংস্থার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের চাকরি ছেড়ে দেন। ভিন্ন টাইম জোনের কারণে কোর্স চলাকালে দুইমাসে তিনি খুব কম সময়ই ঘুমিয়েছেন।
বিশ্বের ১৬টি দেশ থেকে এতোগুলো সার্টিফিকেট পাওয়ার বিরল ঘটনাকে সৌভাগ্য বলেও মনে করেন সাফি।
এনটি