আমিরুল ইসলাম লুকমান বিশ্বজুড়ে নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১৯৭৯ সালে আন্তর্জাতিক সিডও সনদ পাস হয়। বিশ্বের অনেক দেশ সনদটি মেনে নিলেও কিছু-কিছু দেশ এখনো সনদে স্বাক্ষর করেনি।
কতক ইসলামি দেশ সনদে স্বাক্ষর করলেও বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়নি। সনদের ধারাগুলি পবিত্র কুরআন-হাদিসের ভাষ্যের সম্পূর্ণ উল্টো এবং ইসলামি আইন ও জীবনব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত হওয়ার কারণে সৌদি আরব এই সদনটি পুনরায় প্রত্যাখ্যান করেছে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদিল আল জাবির সিডও সনদ কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘নারী অধিকারের নামে জাতিসংঘ ইসলামি শরিয়তের বিধি-বিধানের সরাসরি বিরুদ্ধাচরণ করছে। কোনোভাবেই তাদের এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। যেসব ইসলামি দেশ সিডও সনদের পক্ষাবলম্বন করেছে, তাদের দ্বিতীয়বার চিন্তা-ভাবনা করা উচিত।’
উল্লেখ্য, সিডও সনদের অধিকাংশ ধারাই ইসলামি বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। পবিত্র কুরআন-হাদিসের ভাষ্যের সম্পূর্ণ উল্টো। উদাহরণ স্বরূপ: সিডও সনদের একটি ধারায় বলা হয়েছে, ‘উত্তরাধিকার সম্পদে নারী পুরুষের সমান ভাগ পাবে।’ অথচ পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন, ‘নারী পুরুষের অর্ধেক ভাগ পাবে।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ১১)
আরেক ধারায় বলা হয়েছে, ‘পুরুষ একাধিক বিবাহ করতে পারবে না।’ অথচ ইসলাম পুরুষকে প্রয়োজনে চারটি পর্যন্ত বিবাহের অনুমতি দিয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘বিয়ে করে নাও দুই, তিন বা চারটি পর্যন্ত।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৩)
ফলে জাতিসংঘের নারী অধিকার সনদের অধিকাংশ ধারা কুরআন-হাদিসের বিধানের অনুকূলে না হওয়ায়, সৌদি আরব সনদটি পরিপূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। সূত্র: মুম্বাই উর্দু টাইমস
-এটি