এম.আর.এ. খান,: সাংস্কৃতিক অঙ্গনের খোঁজ খবর রাখার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম দৈনিক পত্রিকার বিনোদন পাতা। এর মাধ্যমে প্রিয়নায়ক- নায়িকা বা তারকাদের মুক্তি পাওয়া নতুন সিনেমা বা নাটক, তাদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানা যায়। শুধু তাই নয় বিভিন্ন বিষয়ে প্রিয়তারকাদের অভিব্যক্তি ও তাদের ব্যক্তিজীবন সম্পর্কেও সঠিক তথ্য পাওয়া যায় বিনোদন পাতার মাধ্যমে। তাই পত্রিকার বিনোদন পাতার প্রতি তারকা ভক্তদের আগ্রহ ও আকর্ষণ অনেক বেশি।প্রতিদিন অগণিত তারকাভক্ত ও দর্শক পত্রিকার বিনোদন পাতায় চোখ বুলিয়ে থাকে।
বর্তমানে কতিপয় পত্রিকা পাঠকের আগ্রহকে পুঁজি করে দেশে সাংস্কৃতিক অবক্ষয় ঘটাচ্ছে। তারা বিদেশি নায়িকা ও নারীতারকাদের অশালীন ও অর্ধনগ্ন ছবি দিয়ে বিনোদনপাতা ভরে রাখছে।বিভিন্ন আঙ্গিকে তাদের স্পর্শকাতর অঙ্গগুলো তুলে ধরা হচ্ছে।তাছাড়া দেশি নায়ক-নায়িকা বা অভিনেতার নিয়ে তেমন জোড়ালো সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে না।বিদেশি তারকাদের অশালীন ও অর্ধনগ্ন ছবি দিয়ে যুবসমাজের রূচি বিকৃত করা হচ্ছে।তাদেরকে পাশ্চাত্যের বিকৃতচিন্তা-চেতনার মধ্যে নিমজ্জিত করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।কু-বাসনা জাগ্রত করে যুবসমাজকে ধর্ষণের মত অপকর্মের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতি ভয়াবহ অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। সাংস্কৃতিক মনমানসিকতা সম্পন্ন অনেক পাঠক পরিবারের অন্য সদস্যদের সামনে কথিত দৈনিক পত্রিকার বিনোদন পাতায় চোখ বুলাতে লজ্জাবোধ করে।তাদের মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করে।পাঠরত অবস্থায় কেউ চলে আসলে দ্রুত অন্য পাতায় চলে যেতে হয়।প্রশ্ন জাগে মনে, কথিত বিনোদনপাতার সম্পাদকেরা কি নিজের সন্তানের সামনে বিনোদনপাতার এমন অশালীন ছবিতে চোখ বুলাতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করবে?জানি না সচেতন মহলের কবে বোধোদয় হবে!এ বিষয়ে নির্বাহী সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্ট কামনা করছি।
বংশাল, ঢাকা।
-এটি