আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম চত্বরে অনুষ্ঠিত ইসলামি বইমেলা নিয়ে ১০টি প্রস্তাবনার কথা জানিয়েছে তরুণ লেখকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মেলা চত্বর থেকে এক ফেসবুক লাইভে লেখক ফোরামের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সময়ের আলোর বিভাগীয় সম্পাদক আমিন ইকবাল এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এর আগে ইসলামী লেখক ফোরামের সভাপতি কবি মুনীরুল ইসলামের নেতৃত্বে মেলা পরিদর্শন করেন লেখক ফোরাম নেতৃবৃন্দ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অর্থ সম্পাদক এমদাদুল হক তাসনিম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মিযানুর রহমান জামীল, গবেষণা সম্পাদক নকীব মাহমুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দীন খান তানভীর, সদস্য আব্দুল্লাহ ফিরোজী, নুর মুহাম্মদ রাহমানী প্রমুখ।
প্রস্তাবনাগুলো হলো-
১. ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ইসলামি বইমেলা পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসে ১ মাসব্যাপী আয়োজন করা।
২. মেলার স্থান-পরিধি আরও সম্প্রসারণ করা।
৩. ইসলামি ধারার অভিজাত ও প্রসিদ্ধ প্রকাশনীগুলোকে মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া।
৪. মেলা চত্বরে লেখক কর্নার বা লেখক মঞ্চ রাখা।
৫. নতুন বইয়ের মোড়ক ও পাঠ উন্মোচনের ব্যবস্থা রাখা।
৭. শিশুতোষ বইয়ের আলাদা কর্নার রাখা।
৬. নারী ও শিশুদের জন্য সপ্তাহে অন্তত একদিন আলাদা দিন নির্ধারণ করা। (সেদিন মাহরাম পুরুষদের নিয়ে নারীরা মেলায় আসবেন)।
৮. মেলার প্রচার-প্রচারণায় কৃর্তপক্ষ আরও জোরালো ভূমিকা পালন করা।
৯. মিডিয়া সেলের ব্যবস্থা রাখা।
১০. তথ্য কেন্দ্র রাখা।
এ সময় ফোরাম সভাপতি কবি মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘আজ দীর্ঘসময় নিয়ে আমরা মেলায় অবস্থান করছি। পাঠকদের উপচে পড়া ভিড় আমাদের আন্দোলিত করেছে। আমরা স্টলে স্টলে ঘুরে প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। তারা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে পাঠকের ব্যাপক সমাগম হচ্ছে এবং বই বিক্রিও বেড়েছে প্রচুর। তবে মেলা প্রাঙ্গণ সংকীর্ণ হওয়ায় পাঠক-দর্শনার্থীদের হাঁটা চলায় খুবই কষ্ট হচ্ছে। সবকিছু পর্যালোচনা করে আমরা ইসলামী লেখক ফোরামের পক্ষ থেকে মেলা আয়োজকদের কাছে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরছি। আমাদের এই দশটি প্রস্তাবনা লিখিত আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানো হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা আশা করি, কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রস্তাবনাগুলো আমলে নিয়ে আগামী বছর থেকে মেলার জায়গা, স্টল ও সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করবেন।’
এনটি