আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়াসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ জখম হওয়া রাকিবুল ইসলাম (২২) আজ শনিবার বেলা ১১টায় মারা গেছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রাকিবুল মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
গত ২৮ জুলাই রাত নয়টায় জেলার কলাপাড়া উপজেলার তেগাছিয়া বাজারের দক্ষিণ দিকের সড়কে আটকে বেধড়ক কুপিয়ে রাকিবুলের ডান হাতের কব্জি বরাবর কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বেধড়ক কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়।
এ ঘটনায় মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি তরিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অরো ৭-৮জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। রাকিবুল ইসলামের মা রাহিমা বেগম ২৯ জুলাই রাতে কলাপাড়া থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ ইতোমধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি নোমান হাওলাদার, খলিল হাওলাদার, নয়ন বয়াতী ও রুবেল শিকদারকে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় অস্ত্র। স্থানীয়রা এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত রুবেলকে মাস্টার মাইন্ড হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।
স্থানীয়রা আরো জানান, রায়হান ও তার ছোট ভাই তরিকুলের নেতৃত্বে মিঠাগঞ্জে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। এরা মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া বাজার, আজিমদ্দিন, মেলাপাড়া, সাফাখালীতে দীর্ঘদিন ধরে ত্রাস করে আসছে। প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এরা মহড়া দেয়। সালিশ, সরকারি খাল দখল, বিরোধীয় জমি দখল, মাছের ঘের দখল করাই হলো এ বাহিনীর প্রধান কাজ।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করেছেন। বাকি আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
-এটি