আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ফায়ার সার্ভিসকে অঙ্গীকারনামা দিলেও কারখানায় অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন করেনি হাসেম ফুডস কর্তৃপক্ষ। তাদের এমন দায়িত্বহীনতায় প্রাণ হারিয়েছেন অর্ধশতাধিক শ্রমিক কর্মচারী। তদন্তে এর প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে সংস্থাটি। তদন্তে জানা গেছে, গরম বাতাসে বিদ্যুতের তার গলে আগুন লাগে কারখানায়।
৮ জুলাই রাতে আগুন লাগে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুডস কারখানায়। এতে ভবন থেকে লাফিয়ে বাঁচতে গিয়ে প্রাণ হারান তিন শ্রমিক। আর পুড়ে মারা যান ৪৯ জন। আহত হন অনেকে।
এ ঘটনা তদন্তে কমিটি করে ফায়ার সার্ভিস, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন, শ্রম মন্ত্রণালয় ও কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। এর মধ্যে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে ফায়ার সার্ভিস।
কমিটির প্রধান জানান, আগুন লাগা ভবনের নিচের তলায় ছিল দুটি এগজস্ট ফ্যান। আর পাশের সংযুক্ত ভবনে ছিল একটি। ওই দুই ফ্যান দিয়ে বাতাস বাইরে বের হলেও অন্য ফ্যানটি ছিল বিপরীতমুখী। এতে নিচেরতলার বাতাস ছিল অনেক গরম। এই গরম বাতাসে ধীরে ধীরে গলে ছিঁড়ে যায় বিদ্যুতের তার।
ফায়ার সার্ভিস তদন্ত দলের প্রধান লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান জানান, অনুমতি ছাড়াই ২০১৯ সাল থেকে ভবনটি ব্যবহার করা হচ্ছিল। গতবছর তদন্তে তা ধরা পড়লে অঙ্গীকারনামা দিয়ে ফায়ার প্ল্যান অনুমোদন করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, কারখানার ভেতরটি ছিল লোহার তারে ঘেরা খাঁচার মতো। যে কারণে সিঁড়ি ব্যবহার করতে পারেননি শ্রমিকেরা। কারখানা কর্তৃপক্ষ তথ্য দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করেনি বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
এদিকে, অন্য তিন সংস্থার কোনো দলই এখনও তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে পারেনি। সময় বাড়ানো হয়েছে জেলা প্রশাসন ও কলকারখানা অধিদপ্তরের কমিটির।
-এটি