আমাদের বুখারী আউয়ালের স্বনামধন্য শায়খ, আমাদের ইলমের সূতিকাগাথার প্রাণপ্রিয় মালিবাগ জামিয়ার শুরু লগ্ন থেকে বহু বছরের মুহতামিম ও রাহবার, উস্তাদে কাবীর হযরত মাওলানা কাজী মু’তাসিম বিল্লাহ এখন রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
হযরতের নামে প্রকাশিতব্য স্বারকগ্রন্থ হবে অনেক লেখকের জ্ঞানগর্ভ আলোচনা এবং হযরতের জীবন থেকে অর্জিত শিক্ষণীয় বিষয়ের বর্ণনায় সমৃদ্ধ। এমনসব লেখার ভিড়ে হয়তো আমার লেখাই হবে এমন, যা হবে না জ্ঞানগর্ভ কথার মধ্যে গণ্য, আর না হযরতের জীবন থেকে অর্জিত শিক্ষার বর্ণনা ধন্য।
কারণ দুঃখময় হলেও সত্য যে, হযরত আমার বিশেষ উস্তাদ হওয়া সত্ত্বেও আমি স্বভাবগত আলস্য এবং অসচেতনাসহ বহুবিধ কারণে হযরতের সহচার্য থেকে শিক্ষণীয় বিষয় আহরণের সুযোগ লাভে তেমন ধন্য হতে পারিনি। তারপরেও আমি আমার এই নিবন্ধে হযরতের জীবনের মোটামোটা কয়েকটি গুণের কথা উল্লেখ করব, যা আমার যৎকিঞ্চিত পর্যবেক্ষণ থেকে অর্জিত এবং বাস্তবসম্মত।
সেগুলো আদৌ সেই গোছের নয়, যা সচরাচর কারও মৃত্যুর পর তার নামে প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থকে প্রশংসানামায় রূপ দেওয়ার জন্য বাড়িয়ে-ছাড়িয়ে বলার গতানুগতিক ধারায় সম্পন্ন হয়ে থাকে।
আমি হযরতের উস্তাদের পাঁচটি এমন গুনের কথা উল্লেখ করব, যে গুনগুলো এখন আমাদের মধ্যে বিরল হলেও আকাবিরে আকাবিরে আসলাফের মধ্যে সেগুলো সচরাচর দেখা যেত বলে বর্ণনা পাওয়া যায়। এ গুনগুলোর বর্ণনা হয়তো স্মারক গ্রন্থের অন্য কোনো লেখকের বা একাধিক লেখকের লেখাতেও এসে যেতে পারে। তবুও বিষয়গুলো আমি আমার মতো করে বর্ণনা করছি।
এক. নিজেকে গোপন করে রাখার নিরন্তন প্রায়াস
আমরা আকাবির আসলাফের অনেকের ব্যাপারে শুনেছি, তাঁরা নিজেদের গুমনাম অবস্থায় রাখতে সচেষ্ট থাকতেন। জ্ঞান ফলানো, নাম ছড়ানো- এসব তারা অপছন্দ করতেন। নিজেরা তো নয়ই, অন্যরা তাদের নামের শুরুতে লকব-উপাধি জুড়ে দিক- এতেও তাদের ঘোর আপত্তি থাকত। নিজের মুখে নিজের কৃতিত্ব গাওয়ার রীতি তাদের ছিল না।
হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত মাওলানা কাসেম নানুতবী রহ. নিজের সম্বন্ধে বলতেন, “কাসেমের উপর দুই অক্ষর শেখার ছাপ লেগে গেছে, নতুবা সে নিজেকে এমনভাবে বিলীন করে রাখত, দুনিয়ার কেউ জানতেও পারত না যে, কাসেম নামে কেউ ছিল”
আমরা অন্যদের থেকে জেনেছি, আমাদের উস্তাদে মরহুম হযরত কাজী মু’তাসিম বিল্লাহ সাহেবের এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ছিল, বড়দের অনেকের সঙ্গে তিনি সুর্দীঘকাল রাজনীতি করেছেন। কিন্তু হযরতের নিজের মুখে কখনো এসব কৃতীর বর্ণনা আমরা শুনতে পাইনি। যেন তিনি নিজেকে গোপন করে রাখার ব্রত গ্রহণ করেছিলেন।
আমরা তাঁর কাছে বুখারী শরীফ পড়েছি, হাদীসের তাওজীহ তাশরীহ ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রে তিনি আকাবির-আসলাফের মতামতের মতো নিজের মতও পেশ করতেন, কিন্তু সেটা হতো অত্যন্ত গরীবানা ভঙ্গিতে, তাওয়াজু মিশ্রিত আলফাজে। কোনো দিন কোনো দরসে অন্য কারও প্রতি টীকা-টিপ্পনী কেটে বা অন্য কোনোভাবে নিজের কৃতিত্ব ফলানোর ভঙ্গিতে কোন কথা তাঁকে বলতে শুনিনি।
এটা হযরতের নিজেকে গোপন রাখার প্রয়াস ও তাওয়াজুর চেতনা থেকেই ছিল বলে মনে করা স্বাভাবিক। আর হাদীসের ভাষ্য- যে আল্লাহর উদ্দেশ্যে তাওয়াজুহ অবলম্বন করে আল্লাহর তার মর্যাদাকেও উন্নীত করে দিন।
দুই. ইলমের জন্য লাজ-শরম ও অহংকার বর্জন।
নিজের না জানা বিষয় অন্যের কাছে জিজ্ঞাস করে জানতে শারম বোধ করা, ছোট হয়ে যাই কিনা- এই চিন্তায় তা থেকে বিরত থাকার মতো অহংকার লালন করা- এগুলো জ্ঞান অর্জনের পথে বড় অন্তরায়। এরকম লজ্জা-শরম ও অহংকার সম্বন্ধেই প্রসিদ্ধ তাবেয়ী হযরত মুজাহিদ রহ. বলেছেন, لا يتعلم العلم متي ولا شكبر . অর্থাৎ, যারা শরম করে কিংবা অহংকার করে, তাদের ইলম শেখা হয়ে ওঠে না। (বুখারি)।
আমরা আকাবির-আসলাফ সম্বন্ধে শুনেছি, জেনেছি, তারা অধীনস্থের কাছ থেকেও এমনকি নিজেদের ছাত্রের কাছ থেকেও কোনাে বিষয় জেনে নিতে কোনাে শরম করতেন না, অহংকারবশত তা থেকে বিরত থাকতেন না।
দারুল উলুম দেওবন্দের আসাতেযায়ে কেরামের মধ্যে হযরত ইয়াকুব নানুতবী রহ.সহ অনেকের অভ্যাস ছিল জানার প্রয়ােজনে তারা অধীনস্থ কেন ছাত্রের কাছে যেতেও কোনাে রকম কুণ্ঠা বােধ করতেন না। আমরা আমাদের উস্তাদে মরহুম হযরত কাজী মুতাসিম বিল্লাহ সাহেবের মধ্যে আকাবিরের এ গুণের প্রতিফলন দেখেছি।
ছােট্ট একটা ঘটনা- আমি তখন মালিবাগ জামেয়ার জালালাইন জামাতের ছাত্র। একদিন রাত দশটা বা সাড়ে দশটা হবে। আমরা আমাদের রুমে পড়াশােনা করছি। রুমভরা ছাত্র। হঠাৎ হযরত কাজী সাহেব সােজা বাসা থেকে আমাদের রুমের সামনে। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি আমাকে সম্বােধন করে বললেন, হেমায়েত! এমন একটা শব্দ বলতাে, যার অর্থে থাকবে করা জরুরি, না করলে নয়। তিনি এ-ও বললেন, “অবশ্য” শব্দ দিয়ে সেটা হবে না।
কারণ এ শব্দের মধ্যে জরুরি-এ ভাবটা তাে আছে কিন্তু না করলে নয়-এ ভাব নেই। আমি এমন একটা শব্দ চাচ্ছি যার মধ্যে করা জরুরি, না করলে। নয়-এই দুটো দিকই থাকবে। আমি বললাম, হুজুর! “অনিবার্য” শব্দ বললে হতে পারে। হযরত তৎক্ষণাৎ তাঁর চিরাচরিত অভ্যাস অনুযায়ী গুরুভারি কণ্ঠে কয়েক আলিফ মদ সহকারে বলে উঠলেন, ঠি-ই-ই-ক বলেছাে, মাশাআল্লাহ!
হযরত বিদায় নিলেন। আমরা বিস্ময়াবিভূত হয়ে হযরতের গতিপথে তাকিয়ে থাকলাম, এমন নিরহংকারও হওয়া যায়! আমরা দেখলাম জানার জন্য শরম বর্জন করার বাস্তব নমুনা কাকে বলে। হযরতের ইলমী তারাকির পেছনে। এ-ও হয়তাে ছিল একটা বড় কারণ। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকেও এরূপ গুণে ভূষিত হওয়ার তাওফীক দান করুন, আমাদের ইলমী তারাক্কী নসীব করুন এবং হযরত থেকে অর্জিত ইলম দ্বারা আমাদেরকে অধিক থেকে অধিক ফায়দা লাভে ধন্য করুন।
৩. উস্তাদ ও শায়খের প্রতি অকল্পনীয় ভক্তি।
আমাদের আকাবির-আসলাফ তাঁদের উস্তাদ, শায়খ ও পূর্বসূরী আহলে হকের প্রতি ভক্তিগুণে ভূষিত ছিলেন। আর তাদের সে ভক্তি চর্চিত হত ভারসাম্য ও পরিমিতি সহকারে।
ভারসাম্যের সঙ্গে কোনাে কিছু চর্চা ও পরিমিতি জ্ঞানে আমাদের আকাবিরআসলাফ বিশেষত আকাবিরে দেওবন্দ অত্যন্ত সুপরিচিত। আকাবির আসলাফের মধ্যে আল্লামা সাখাবী ছিলেন তাঁর উস্তাদ ইবনে হাজার আসকালানীর ফানা ফিশ শায়খ শাগরেদ।
ইবনুল কায়্যমি ছিলেন তার উস্তাদ ইবনে তাইমিয়ার ফানা ফিশ শায়খ শাগরেদ। এরকম আরও অনেকে ফানা ফিশ শায়খ হিসেবে প্রসিদ্ধ। মাওলানা রূমী ছিলেন তাঁর শায়খে তরীকত শামসে তিব্রিজীর জন্য ফানা। হযরত রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী ছিলেন তাঁর শায়খে তরীকত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কীর জন্য ফানা।
হযরত রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী রহ, তার শায়খ ছাড়া আর কাউকেই বুঝতেন না। তিনি বলতেন, কোনাে মজলিসে যদি জুনায়েদ বাগদাদী, শিবলীও থাকেন আর আমার শায়খ সেখানে থাকেন, তাহলে আমার নজর আমার শায়খ ছাড়া আর কারও দিকে যাবে না।
এই হল উদাহরণস্বরূপ আকাবির-আসলাফের মধ্যে উস্তাদ ও শায়খের প্রতি ভক্তিসম্পন্ন। কয়েকজনের নাম। আমাদের উস্তাদে মরহুম হযরত কাজী সাহেবের মধ্যেও আমরা। উস্তাদ ও শায়খের প্রতি ভক্তিগুণের অফুরন্ত প্রতিফলন দেখেছি।
তিনি তাঁর উস্তাদ ও শায়খ শায়খুল ইসলাম হযরত মাওলানা সায়্যদি হুসাইন আহমদ মাদানী (আলাইহির রহমাহ) বলতে অন্ধ ছিলেন। একজন মানুষের পক্ষে কথা ও ভাব-ভঙ্গিতে কারও প্রতি আবেগ ও ভক্তির অভিব্যক্তি যতটা ঘটানাে সম্ভব হযরত কাজী সাহেব রহ দ্বারা মাদানী রহ.-এর কোনাে বিষয় আলােচনার সময় তার চেয়েও বেশি ঘটত, কাজী সাহেব জীবিত ছিলেন মালিবাগ জামেয়ার বুখারী খতমের মজলিসই তিনি পারতপক্ষে শায়খুল ইসলাম হযরত মাওলানা সায়িদে মাদানী রহ.-এর সাহেবজাদা ফেদায়ে মিল্লাত হযরত মাওলানা আসাদ মাদানী রহ. এর দ্বারা করানাের সর্বাত্মক চেষ্টা করতেন।
এক কথায় উস্তাদ ও শায়খের প্রতি ভক্তি নিবেদন কীভাবে তা আমরা হযরত কাজী সাহেবের মধ্যে দেখেছি। আল্লাহ তাআলা কাজী সাহেবকে ও তার উস্তাদ, শায়খ পূর্বসূরী আকাবির-আসলাফের মাকামে থাকার জন্য কবুল করে নিন।
৪. শিশুসুলভ সরলতা ।
হযরত কাজী সাহেব রহমাতুল্লাহ আলাইহি-র শিশুসুলভ সকাল সর্বজনবিদিত, ব্যাখ্যা-অনপেক্ষ। শুধুমাত্র মুনাজাতে হযরতের কান্না দেখলেই তিনি কতটা শিশুসুলভ ছিলেন তা বুঝা যেত। আর অন্যদেরকে যেভাবে তিনি সরল বিশ্বাসে আপন করে নিতেন তা-ই ছিল হযরতের সরলতার বড় প্রমাণ।
হযরত সরল মনেই সকলকে গ্রহণ করতেন, আপন করে নিতেন। অবশ্য হযরতের এই সরলতার সুবাদে যাদেরকে হযরত সরল বিশ্বাসে আপন করে নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্থান বিশেষে হযরতের দ্বারা অনাকাঙ্ক্ষিত ফায়দাও লুটে নিয়েছে, তবে অন্যরা তার জন্য হযরতকে দায়ী করেননি।
হযরতের সরলতার সুবাদেই হযরতকে নির্দোষ বিবেচনা করা হয়েছে। সরল মানুষ এভাবেই দুনিয়াতে পার পেয়ে যায়। আশা করা যায় আখেরাতেও তারা পার পাবে। এরূপ সরল বিশ্বাস খাটি মুমিনের মধ্যে হয়ে থাকে। যার ফলে তারা অন্যকে ধোকা না দিলেও নিজেরা ধােকা খায়।
কারণ তারা অন্যের প্রতি খারাপ ধারণা পােষণ করে না, বরং সুধারণা পােষণ করে। তাই তারা ক্ষেত্র বিশেষে ধোকায়ও পড়ে যায়। এ সম্বন্ধে হযরত আবু হুরায়রা রা. কর্তৃক বর্ণিত এক হাদীছে এসেছে, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
অর্থাৎ, মুমিন হয়ে থাকে সরলমনের, শরীফ চরিত্রের। (আবু দাউদ, তিরমিযা আল্লামা মুনাবী “ফায়জুল কাদীর” গ্রন্থে এ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, “এর অর্থ সবাই তাকে ধোকা দিতে পারে, সে কাউকে ধোকা দেয় না। তার মন পরিষ্কার। সবার সুধারণা থাকে। সে মন্দ বােঝে না। ফলে সে ধোঁকায় পড়ে যায়।”
আকাবির-আসলাফের মধ্যে অন্যের প্রতি সরল সুধারণা থাকার কারণে এমনসব কথায় বিশ্বাস স্থাপন কিংবা এমনভাবে ধোকা খাওয়ারও ঘটনা রয়েছে, যা রীতিমত অবিশ্বাস্য পর্যায়ের।
এক বুযুর্গ সম্বন্ধে বর্ণিত আছে-একজন লােক (সম্ভবত বুযুর্গের সরলতা পরীক্ষা করার জন্য) বলল, হযরত! আপনার স্ত্রী তাে বিধবা হয়ে গেছে। বুযুর্গ তখন আফসােস করে বললেন, হায় হায়! এখন ঐ বেচারীর কী অবস্থা হবে! কে তার দেখাশােনা করবে, কে তার ভরণ-পােষণ করবে?!
তখন অন্য একজন বলল, হযরত আপনি বেঁচে থাকতে আপনার স্ত্রী বিধবা হয় কী করে? বুযুর্গ বললেন, তাই তাে, তাহলে কি ও মিথ্যা বলেছে? মুসলমান মিথ্যাও বলতে পারে! আর এক বুযুর্গের ঘটনা। তিনি হলেন পাকিস্তানের হযরত মাওলানা ইদ্রিস কান্ধলবী রহ.। তার এক পুত্রের ছিল একটা বাইসাইকেল ।
সে প্রতিদিন হযরতের কাছ থেকে “আব্বু সাইকেলে পেট্রোল লাগবে, টাকা দিন” বলে টাকা খসিয়ে নিত। একদিন একজন হযরতকে জানাল যে, হযরত! ওর তাে বাইসাইকেল, মােটর সাইকেল নয়। বাইসাইকেলে তাে পেট্রোলের প্রয়ােজন পড়ে না। তিনি তখন বলেছিলেন, ও কি তাহলে মিথ্যা বলে? মুমিন হয়েও কেউ মিথ্যা বলতে পারে!
হে আল্লাহ! তুমি আমাদের উস্তাদসহ এইসব সরল বুযুর্গদের শুধুমাত্র তাঁদের সরলতা গুণের কারণেই মুক্তি দিয়ে দিও।
৫. ফিকরে আখেরাতের সার্বক্ষণিক তাড়না।।
হযরত কাজী সাহেব সারা জীবনই ছিলেন একজন তাকওয়ার চেতনায় উজ্জীবিত খােদভীরু মানুষ। বিশেষত শেষ জীবনে হযরতের অবস্থা ছিল যেন আখেরাতের চিন্তা ও খােদাভীতি ছাড়া তাঁর মাথায় আর কিছুই নেই।
হযরত কাজী সাহেবের ওফাতের প্রায় এক যুগ পূর্বে একদিন আমাদের উস্তাদ জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার শায়খে ছানী হযরত মাওলানা উবাইদুল্লাহ ফারুক সাহেব দামাত বারাকাতুহুম কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “কাজী সাহেবের আর কী খবব নিবেন? উনার মাথায় এখন আখেরাতের ফিকির ছাড়া আর কিছুই নেই, উনি এখন শুধু এই চিন্তায়ই আছেন, নাজাত হবে কি না।”
আল্লাহ হযরতের তাকওয়া ও খােদাভীতিকে কবুল করুন। কুরআন কারীমের বর্ণনা মতে, যারা মুত্তাকী তথা তাকওয়াগুণে ভূষিত, তারা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত। নিশ্চয় এরূপ লােকদের ঠিকানা হবে জান্নাতুল ফেরদাউস। আমরাও দোয়া করি, হে আল্লাহ! আমাদের হযরতের ঠিকানা যেন হয় জান্নাতুল ফেরদাউস।
লেখক: উস্তাযুল হাদীস, জামিয়া মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।
-এটি