আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানার অগ্নিকাণ্ডের সময় কারখানাটিতে শিশু শ্রমিকেরা কাজ করছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। যদিও দেশে শিশুশ্রম আইনিভাবে নিষিদ্ধ।
শুক্রবার হাসেম ফুডস কারখানায় স্বজনদের খুঁজতে আসা অনেকে এমনটাই জানিয়েছেন।
ঝুমা নামে একজন জানান, তার বোন ইসরাত জাহান ফুলির বয়স ১৬, সে অগ্নিকাণ্ডের সময় কারখানায় কাজ করছিল।
রূপগঞ্জ থানার এসআই মিন্টু হাসেম ফুডস কারখানার ফটকে বসে নিখোঁজদের তালিকা করছিলেন। স্বজনদের কথায় জানা গেল, সেই তালিকার অনেকেরই বয়স ১৮ পার হয়নি।
ঝরনা বেগম নামে এক নারী মেয়ের ছবি হাতে নিয়ে তিনি কারখানা এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন। তিনি জানান, তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে ফারজানা গত তিন বছর ধরে পাঁচ হাজার টাকায় এ কারখানায় কাজ করছিল।
ফারজানার সহকর্মী ১৬ বছর বয়সী মৌমিতা জানান, যখন আগুন লাগে তিনি তখন কাজে ছিলেন না। তার বয়সী অনেক কিশোর-কিশোরী ছিল কারখানার কর্মীদের মধ্যে। তবে কম বয়সীদের সাধারণত রাতের পালায় রাখা হত না।
কম বয়সীদের এভাবে কারখানায় কাজ করানোর বিষয়ে হাসেম ফুডসের কর্মকর্তাদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
লিমা বললেন, পোশাক কারখানাগুলোতে কম বয়সীদের নেয় না। তবে হাসেম ফুডসে সেই সুযোগ ছিল বলে স্থানীয় অনেক কিশোর-কিশোরীই সেখানে কাজ করত।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের চেষ্টায় ১৬ ঘণ্টা পরও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ৫৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র।
এনটি