আবদুল্লাহ তামিম।। ভারতের ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম আল্লামা আবুল কাসিম নোমানীর সভাপতিত্বে নয়াদিল্লির জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর সদর দফতরের মাদানি হলে ভারতের শরিয়াহ আমিরাতের একদিনের প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৩ তারিখের এ সমাবেশে ভারতের নবনিযুক্ত আমিরুল হিন্দ আল্লামা আরশাদ মাদানি ঘোষণা করেন, সারা দেশে শরিয়াহ আদালত স্থাপন করতে হবে, আমিরাত ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
ভারতে আমিরে শরিয়ত নিযুক্তের বিষয়ে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর কর্মকর্তারা এ বৈঠকে অংশ নেন। হযরত মাওলানা ক্বারী সৈয়দ মুহাম্মদ উসমান মনসুরপুরীর মৃত্যুর পর ভারতের ওলামায়ে কেরাম আমিরে শরিয়ত হিসেবে হযরত মাওলানা আরশাদ মাদানির নাম উপস্থাপন করেন। এই মর্যাদাপূর্ণ পদটির জন্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর সদর ও দারুল উলূম দেওবন্দের সিনিয়র পরিচালক আল্লামা আরশাদ মাদানী নির্বাচিত হোন।
আমির নিযুক্ত হওয়ার পর বিবৃতিতে তিনি বলেন, আজ মুসলিম সম্প্রদায়কে অবনমিত করার পায়তারা করছে একটি দল ও গোষ্ঠী। আজ ইসলামি সমাজের উন্নতির জন্য একটি আন্দোলনের প্রয়োজন রয়েছে। ভিন্ন চোখে ভিন্ন আকারে কাজ শুরু করতে হবে। ভারতে শরিয়াহ আদালত স্থাপনে জোড়দার কাজ করতে হবে।
হযরত মাওলানা মাহমুদ মাদানীর প্রস্তাবে হযরত মাওলানা নেমাতুল্লাহ আজমী, দারুল উলূম দেওবন্দ, হযরত মাওলানা আবদুল আলম ফারুকী, মাওলানা আহমেদ দেওলা, জমিয়তে ওলামা গুজরাতের সহ-সভাপতি হযরত মাওলানা সৈয়দ আশহাদ রশিদী, হযরত মাওলানা বদর আহমদ মুজিবী, খানকাহ মুজিবিয়া পাটনা বিহার, হযরত মাওলানা ইয়াহইয়া বাসকান্দি আমির শরীয়ত আসাম, হযরত মাওলানা বদরুদ্দীন আজমল সভাপতি জমিয়তে ওলামা আসামসহ আরো অনেক আলেমের সম্মতিতে আল্লামা আরশাদ মাদানিকে আমিরুল হিন্দ নির্বাচিত করা হয়।
সমাবেশের পর হযরত মাওলানা মুফতি আবুল কাসিম নোমানী নাম ঘোষণা করেন, এরপর সভায় অংশগ্রহণকারী আলেম উলামা ও অন্যান্য উপস্থিত লোকেরা তার কাছে আনুগত্যের শপথ করেন।
১৯৮৬ সালে ভারতে ইমারাতে শরয়িয়্যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় পর্যায়ে শরিয়াহ আদালত প্রতিষ্ঠা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। ইসলাম ও মুসলিমদের অধিকারের পক্ষে কথা বলে। সূত্র: আসলে হাজির
-এটি