মোস্তফা ওয়াদুদ: ইবাদতের মাঝে অন্যতম ইবাদত হলো নামাজ। আর ফরজ নামাজের পর যদি কেউ মুনাজাতে রাব্বুল আলামীনের কাছে প্রার্থনা করেন, আল্লাহ তায়ালা খুব সহজেই সে দোয়া কবুল করেন বলে বুজুর্গদের আমল রয়েছে।
কিন্তু আমাদের দেশে ভিন্ন কথা শোনা যায়। ফরজ নামাজের পর সম্মিলিত মুনাজাতকে কেউ কেউ বিদআত বলেন। কেউবা আবার মনে করেন এটা জায়েজ নেই। তবে বিতর্কের জায়গা থেকে নয়। আমরা জানতে চাই মূল মাসআলা।
আজ দেখবো পাকিস্তানের বিখ্যাত দীনি ইদারা জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া, করাচি, বিননূরী টাউন পাকিস্তান কী বলে এ বিষয়ে?
মাদরাসার ফতোয়া বিভাগে জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করেন, নামাজের পর সম্মিলিত মুনাজাতের বিষয়ে। তিনি প্রশ্নে উল্লেখ করেন, সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা কি জায়েজ?
এ প্রশ্নের জবাবে বিননূরী টাউনের ওয়েবসাইটে বলা হয়, যে সকল স্থানে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সম্মিলিত মুনাজাতের প্রমাণ রয়েছে। যেমন, নামাজের পর, সূর্যগ্রহণের সময়, কবরস্থানে লাশ দাফনের পর প্রভৃতি জায়গায়; এ সকল স্থানে সম্মিলিত মুনাজাত করা জায়েজ।
আর যে সকল স্থানে সম্মিলিত মুনাজাত করা বর্ণিত নেই, কিন্তু তার নিষেধাজ্ঞাও বর্ণনা নেই। সেখানে সম্মিলিত মুনাজাত করা আবশ্যক নয়। বরং স্থান-কাল-পাত্র ভেদে মুনাজাত করা যেতে পারে। এখানে করা না করার বিষয়ে তেমন কোনো বিধিনিষেধ নেই। বরং সমাবেশের মধ্যে কোন নেককার লোকের উসিলায় দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং দোয়া করাটাই উত্তম।
আর যেখানে সম্মিলিত দোয়া করা প্রমাণিত নেই, সেখানে মুনাজাতকে আবশ্যক বা জরুরি মনে করা, অথবা কেউ যদি মুনাজাত না করতে চায়, তার ওপর জবরদস্তি করা না জায়েজ।
১ম দলীল: ই’তেসাম লীল শাতিবী, পৃষ্ঠা নং- ৫৩, দারে ইবনে আফফান, সৌদি আরব থেকে প্রকাশিত।
২য় দলীল: মিরকাত, খণ্ড নং-৩, পৃষ্ঠা নং-৩১, মাকতাবায়ে রশিদিয়া থেকে প্রকাশিত।
এমডব্লিউ/