আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: করোনাভাইরাস থাকবেই। এই মরণ ভাইরাসকে সঙ্গী করেই চলতে হবে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল ব্রিটেনকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ সামলাতে লকডাউনের পথে হেঁটেছিল ব্রিটেন সরকার। কড়া বিধিনিষেধ ও ব্যাপক হারে টিকাকরণে অনেকটাই আয়ত্তে এসেছিল পরিস্থিতি। পরবর্তী ধাপ ছিল সম্পূর্ণ আনলক। তার ঠিক আগেই ডেল্টা স্ট্রেইনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ব্রিটেন। ফলে মুলতুবি রাখতে হয় আনলকের সিদ্ধান্ত। এই মুহূর্তে করোনা সম্পূর্ণ নির্মূল না হলেও, খুব শিগগিরই আনলক ঘোষণা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা।
১৯ জুলাই পার্লামেন্টে এই ইস্যুতে বার্তা দেবেন প্রধাননমন্ত্রী বরিস জনসন। ইতিমধ্যে আনলকের রূপরেখা ঠিক করা হয়েছে। বাড়ির বাইরে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার সিদ্ধান্ত ‘ঐচ্ছিক’ করা হয়েছে। দেশবাসীকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, ‘কোভিড-মহামারীর মোকাবিলা করেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে হবে আমাদের।’
করোনার জেরে ব্রিটেনে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষের। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে যা সর্বাধিক। যদিও গত দু’সপ্তাহে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে অনেকটাই। গত সপ্তাহে দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজারের উপরে থাকলেও, বর্তমানে তা নিম্নমুখী।
এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা তুলে ধরেছেন গণটিকাকরণকে। এখনও পর্যন্ত দেশের ৮৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক টিকার একটি ডোজ এবং ৬৩ শতাংশ মানুষ দু’টি ডোজ পেয়েছেন। করোনা-ভীতি উড়িয়ে ছন্দে ফিরতে আপাতত গণটিকাকরণই হাতিয়ার বরিস প্রশাসনের।
-কেএল