আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় সোমবার এক বিবৃতি জারি করে ঘোষণা করেছে, যেসকল কম্পিউটার গেমস ইসলামী বিশ্বাসকে বিকৃত করে এবং সহিংসতা প্রতি আহ্বান জানায়, সেগুলো খেলা হারাম।
আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক অনলাইন ফতোয়া সেন্টার সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে যেসকল গেইম হিংসা, সহিংসতার আহ্বান জানায় এবং ধর্মীয় বিশ্বাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করে, সেগুলো খেলা হারাম।
সম্প্রতি ফোর্টনাইট কম্পিউটার গেমস নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার পরে আল-আজহারের এই ফতোয়া জারি করেছে। কারণ এই খেলার কিছু দৃশ্যে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও বিদ্বেষ প্ররোচিত করা হয়েছে।
এছাড়াও এই গেমসে পবিত্র কাবাঘরের অবমাননা করার হয়েছ। ভিডিও গেমসে পবিত্র কাবা শরীফ ধ্বংসের টাস্ক অর্থাৎ কাবা শরীফ ধ্বংস করলেই যাওয়া যাবে পরবর্তী স্টেজে।
আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক অনলাইন ফতোয়া সেন্টার গুরুত্বারোপ করে বলেছে: ইতিমধ্যে যেসকল কম্পিউটার গেমস তরুণদের বুদ্ধি ও বিবেকের বিকৃতি ঘটায়, তরুণ ও যুবকদের মূল দায়িত্ব অর্থাৎ অধ্যয়ন থেকে দূরে সরিয়ে নেই, বাস্তব বিশ্ব থেকে ভার্চুয়াল বিশ্বে ঠেলে দেয়, হিংসাত্মক ও ঘৃণা ছড়ায় এবং নিজের ও অন্যের ক্ষতিসাধন করে এমন গেমসের ব্যাপার সতর্ক করেছি।
এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে: ফোর্টনাইট গেমস আমাদের শিশুদের ধারণাকে অস্পষ্ট ও অন্ধকার করে দেয় এবং আর এভাবেই তাদের চোখের সামনে ইসলামের পবিত্র স্থান ধ্বংস করা হয়। বিশেষত পবিত্র কাবাঘর, আর এই কাবাঘরের দিকে মুখ করে আমরা প্রতিদিন আমাদের নামাজ আদায় করি। হজ মৌসুমে এই পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করি। যা আমাদের জন্য উত্তম ও বরকতময় স্থান। এটি পৃথিবীতে নির্মিত প্রথম ঘর।
আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ফতোয়া সেন্টার ফতোয়া জারির মাধ্যমে বলেছে: বিশ্বাসকে বিকৃত করা, ধর্মকে অবমাননা করা বা নাস্তিক্য ও নিন্দার আহ্বানের লক্ষ্যে যে সমস্ত গেমস সহিংসতা সৃষ্টি করে এবং ভুল ধারণার বিস্তার ঘটায় সেগুলি সম্পূর্ণরূপে হারাম।
-এটি