আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আগামী মাসে রূপরেখা লিখিতভাবে দেশটির সরকারের কাছে উপস্থাপন করার পরিকল্পনা করছে তালেবান। গোষ্ঠীটির মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এ পরিকল্পনার কথা জানান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় আলজাজিরা।
তালেবানের মুখপাত্র বলেন, আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার মধ্যেই তালেবান দেশের বহু এলাকা দখলে নিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বাগরামঘাঁটি থেকে প্রায় দুই দশক পর সৈন্য প্রত্যাহার করলে তালেবানের ভয়ে প্রায় হাজারখানেক আফগান সেনা পার্শ্ববর্তী দেশ তাজিকিস্তানে পালিয়ে গেছে। এরই মধ্যে তালেবান শান্তি প্রতিষ্ঠায় আলোচনার পথ বেছে নিতে যাচ্ছে, যা দেশটির জন্য সুখের খবর বলা চলে।
সোমবার তালেবানের এ মুখপাত্র বলেন, সামনের দিনগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আলোচনা বাড়তেই থাকবে। আলোচনাকে একটি পর্যায়ে এগিয়ে নিতে সম্ভবত মাসখানেক সময় লাগবে। সেই সময় উভয়পক্ষই শান্তি প্রতিষ্ঠায় তুলে ধরবে পরিকল্পনার লিখিত রূপরেখা। আমরা আলোচনা এবং সংলাপের বিষয়কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছি।
তালেবানের এ পরিকল্পনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একমাত্র পথ হলো- সমঝোতার মাধ্যমে সংকটের নিষ্পত্তি।
বিদেশি সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার মধ্যেই দেশটির প্রায় ১০০ জেলা দখলে নিয়েছে তালেবান। তবে তালেবানের দাবি, ৩৪ প্রদেশের ২০০টির বেশি জেলা তারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালে আফগানিস্তানে আগ্রাসন শুরু করে। দুই দশকের এই যুদ্ধে মার্কিন সামরিক বাহিনীর দুই হাজার তিনশর বেশি সদস্য প্রাণ হারান। আহত হন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর হাজার হাজার সেনা। পাশাপাশি অগনতি আফগান নাগরিক যুদ্ধের শিকারে পরিণত হয়। এই যুদ্ধের জন্য খরচ করা হয় দুই ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ।
এমডব্লিউ/