আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বের জের ধরে চর এলাহী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় চেয়ারম্যানের পরিবারের অন্তত ৬ জন সদস্য আহত হয়।
শনিবার (৩ জুলাই) রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের চরএলাহী গ্রামের রাজ্জাক চেয়ারম্যানের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- চেয়ারম্যানের স্ত্রী বিবি রহিমা খাতুন (৩৬), ছেলে মো. রাজীব (২২), চেয়ারম্যানের বোন পারুল আক্তার (৪০), জয়গুণ বিবি (৫০), ভাতিজা ইমরান হোসেন (২৮), রাজীব (২১)।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা.সাইফুদ্দিন আনোয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করেন, ‘কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে কাদের মির্জার অনুসারী চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি, হেলাল হোসেন মেম্বারের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী আমার বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা আমার বসত ঘরের সামনের অংশ কুপিয়ে তছনছ করে দেয়। একপর্যায়ে তারা বসত ঘর লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এ সময় আমার পরিবারের ৬ সদস্য আহত হয়।
চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি বলেন, এটি সাজানো নাটক। যখন হামলার ঘটনা ঘটে তখন আমরা বসুরহাট বাজারে ছিলাম।
আবদুল গণি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী এবং চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পুষ্প বরণ চাকমা ঘটনাস্থল থেকে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪টি ককটেল বোমা, ৩টি চকলেট বাজি ও বসতঘর থেকে ব্যবহৃত এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, এ সময় হামলাকারীদের আতঙ্কে দিকবিদিক ছোটাছুটি করতে গিয়ে চেয়ারম্যানের পরিবারের ৬ সদস্য আহত হয়। এ সময় চেয়ারম্যানের ছেলে ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে বাহিরে পালিয়ে যায়। তবে আহতদের আঘাত বেশি গুরুত্বর নয়।
-এএ