আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে ‘জল্লাদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাইসির জয়কে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিতে ফেরার আগে বিশ্বশক্তির জন্য চূড়ান্ত ‘জাগরণ’ বলে মন্তব্য করেছেন নাফতালি। ক্ষমতাগ্রহণের পর রোববার মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে নাফতালি এসব কথা বলেন। খবর ডয়েচে ভেলের।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বলেন, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি তেহরানের ফাঁসিদাতাকে বেছে নিয়েছেন, যিনি বহুদিন ধরে ইরান ও বিশ্বজুড়ে হাজারও নিরীহ ইরানি নাগরিকের ফাঁসির হুকুমদাতা হিসেবে পরিচিত।
নাফতালি বলেন, ‘এই লোক (রাইসি) একজন খুনি, গণহত্যাকারী। এমন একজন নিষ্ঠুর জল্লাদের হাতে গণবিধ্বংসী অস্ত্র তুলে দেওয়া কখনই উচিত নয়। এতে তিনি হাজার নয়, লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করতে সক্ষম হবেন।’
আগামী আগস্টে রুহানির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা নেবেন রাইসি। তার আগেই পারমাণবিক চুক্তিতে ফেরা ও তেহরানের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের চলমান আলোচনার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করে ইরান। চুক্তি মেনে দেশটি পারমাণবিক কার্যক্রম থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয়। বিনিময়ে তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা ধাপে ধাপে প্রত্যাহারের কথা জানায় পশ্চিমা দেশগুলো।
কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টে যায় ২০১৮ সালে। তখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী উল্লেখ করে তিনি এ চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন। নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ইরানের ওপর।
তবে ট্রাম্পের বিদায়ের পর পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন। ফলে আলোচনারও পথ সুগম হয়েছে, যাতে আশাবাদী হয়েছে ইরান।
মুখ থুবড়েপড়া সেই পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে নতুন করে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। আর সেই চুক্তির বিষয়েই সবাইকে সতর্ক করেছেন ইসরাইলের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।
এনটি