আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানে গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে৷ এতে জয়ী হয়েছেন এব্রাহিম রাইসি৷ আগস্ট মাসে তিনি শপথ নেবেন৷ ছবিঘরে তার পরিচয় তুলে ধরা হচ্ছে৷
১৯৬০ সালে ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মাশহাদে জন্মগ্রহণ করেন এব্রাহিম রাইসি৷ শিয়া মুসলমানদের জন্য শহরটি অন্যতম পবিত্র স্থান৷ সেখানেই ইমাম রেজার মাজার শরিফ অবস্থিত৷ ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ঐ মাজার পরিচালনা কমিটির প্রধান ছিলেন রাইসি।
রাইসি একজন ‘হুজ্জাত আল-ইসলাম’ নামে প্রসিদ্ধ। যার অর্থ ‘ইসলাম বিশেষজ্ঞ’৷ এটি ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মানিত পদ৷
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর মাত্র ২০ বছর বয়সে তেহরানের কাছের কারাজ শহরের প্রোসিকিউটর জেনারেল হিসেবে কাজ শুরু করেন রাইসি৷ এরপর তিনি বিচারক হন৷ ২০১৯ সালে তিনি ইরানের প্রধান বিচারপতি হন৷
১৯৮৮ সালে ইরানের ‘ডেথ কমিশনের’ সদস্য ছিলেন রাইসি৷ ঐ সময় সরকারবিরোধী অন্তত পাঁচ হাজার জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন বলে ২০১৮ সালে প্রকাশিত অ্যামনেস্টির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়৷ এরপর ট্রাম্প প্রশাসন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাইসির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল৷
নির্বাচনি প্রচারণার সময় রাইসি বলেছিলেন, তিনি জয় পেলে ২০১৫ সালে পশ্চিমা ছয় শক্তির সঙ্গে স্বাক্ষরিত ইরান চুক্তি মেনে চলবেন- যদি ইরান, যুক্তরাষ্ট্র নয়, সেই চুক্তির শর্ত ঠিক করতে পারে৷ বারাক ওবামার আমলে সই হওয়া ঐ চুক্তি থেকে সরে এসেছিল ট্রাম্প প্রশাসন৷ এখন বাইডেন এসে সেই চুক্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আলোচনা চলছে৷
পর্যবেক্ষকদের ধারনা, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এখনকার চেয়েও বেশি কঠোর হবেন রাইসি৷ বাকস্বাধীনতার ক্ষেত্রও আরো সংকুচিত হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের৷ কারণ রাইসির সময়ে ইরানে হোয়াটসঅ্যাপের প্রতিদ্বন্দ্বী সিগন্যালের ব্যবহার কয়েকমাস বন্ধ ছিল৷
রাইসির মতোই ইরানের বর্তমান সুপ্রিম নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেইর জন্ম মাশহাদ শহরে৷ নির্বাচনি প্রচারণা চলার সময় খামেনেই রাইসিকে ‘বিশ্বস্ত ও অভিজ্ঞ মানুষ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন৷ খামেনেইর বয়স আগামী মাসে ৮২ হবে৷ ফলে তার পরবর্তীতে রাইসি দেশটির সুপ্রিম নেতা হতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকে৷ সূত্র: ডয়েচে বেল
-এটি