আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আনুষ্ঠানিকভাবে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের আগেই আফগানিস্তানে বেড়েছে তালেবানের ক্ষমতা। দেশটির ৬টি প্রদেশে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছেন তারা। এরই মধ্যে প্রায় ৪০টি জেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে রদবদল করেছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি।
প্রায় ২০ বছরের অভিযান শেষে আফগানিস্তান ছাড়ছে মার্কিন ও সামরিক জোট ন্যাটোর সেনারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা অনুযায়ী, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশটি থেকে সব সেনা সরানো হবে।
তবে, আনুষ্ঠানিক সেনা প্রত্যাহারের আগেই আফগানিস্তানে বাড়ছে সহিংসতা। ইউরোপীয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের হিসেবে, শুধু এপ্রিলেই দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর ৩৮৮ সদস্য নিহত হয়েছে। মে মাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১শো। এই সময়ে নানা সহিংসতায় নিহত হয়েছে সাড়ে ৪ হাজার বেসামরিক মানুষ। এপ্রিলে এই সংখ্যা ছিলো দেড় হাজার।
সম্প্রতি অন্তত ৬টি প্রদেশে তালেবানের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। জঙ্গি সংগঠনটির দাবি, তাদের নিয়ন্ত্রণে ৪০টি জেলা। যদিও, আফগান সরকারের দাবি খুব শিগগিরই এসব জেলা পুনরুদ্ধার করা হবে। এছাড়া, মে মাসে নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে প্রায় চার হাজার তালেবান নিহতের দাবিও করেছে সরকার। তবে তালেবানরা তা অস্বীকার করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানকে সর্বকালের ভয়াবহতম গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। পাশাপাশি তালেবান আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসার শঙ্কায় আছে তারা।
সম্প্রতি আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা প্রশ্নে একমত হয় যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক। এর জবাবে, বিমানবন্দরে নিরাপত্তার অজুহাতে বিদেশি সেনার উপস্থিতি মেনে নেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে তালেবান।
-এটি