আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আলোচিত ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান গাইবান্ধার ত্রিমোহনীতে যেই বন্ধুর বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন সেই বন্ধু সিয়াম ইবনে শরীফ বিষয়টি জানতেন না বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন। সম্প্রতি ত্বো-হা আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে চাকরি হারিয়েছেন তিনি।
ত্ব-হা তার দুই সঙ্গী ও গাড়িচালককে নিয়ে বন্ধু সিয়ামের গ্রামের বাড়ি আট দিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। এ ঘটনার জের ধরে সিয়ামকে চাকরিচ্যুত করেছে একটি বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানি। সিয়াম রংপুরে ওই কোম্পানিটির মানবসম্পদ (এইচআর) বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
রোববার দুপুর পৌনে ২টার দিকে সিয়াম নিজেই তার চাকরি হারানোর বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানান, বন্ধু ত্ব-হা ইস্যুতে শনিবার (১৯ জুন) তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
সিয়াম বলেন, আমার বন্ধু ত্ব-হাসহ চারজন গাইবান্ধায় আমাদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল, এটা আমাকে জানানো হয়নি। এ কারণে ত্ব-হার নিখোঁজ হওয়ার সংবাদে আমি নিজেও উদ্বিগ্ন ছিলাম। অন্য বন্ধু-বান্ধবদের মতো ত্ব-হার সন্ধান দাবিতে আমিও মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলাম। পুলিশ ত্ব-হাকে উদ্ধারের পর জানলাম, সে আত্মগোপনে ছিল। সেটা নাকি আমাদের বাড়িতেই। আমার মা ত্ব-হাদের সেখানে লুকিয়ে থাকার ব্যাপারে আমাকে কিছু জানায়নি। অথচ এখন অভিযোগ করা হচ্ছে, আমি নাকি তাদেরকে লুকিয়ে রেখে মানববন্ধন করেছি। এটা মিথ্যা অভিযোগ, আমি কিছুই জানতাম না।
মা কেন ত্ব-হাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি জানাননি, এ প্রশ্নের উত্তরে সিয়াম বলেন, ত্ব-হা প্রায়ই আমাদের বাড়িতে যেত। সে আমার স্কুল-কলেজের ফ্রেন্ড। আমরা একসঙ্গে বেড়ে উঠেছি। আমাদের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। ও নাকি আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমার মাকে অনুরোধ করেছিল, তাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি যেন আমার মা কাউকে না জানান।
সিয়ামের মা নিশাদ নাহার গণমাধ্যমকে জানান, ত্ব-হা ও তার সঙ্গীরা সাত দিন তাদের বাড়িতে ছিল, কিন্তু আশপাশের কেউ জানত না। এমনকি তার ছেলে সিয়ামও জানত না।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জুন রংপুর থেকে ঢাকায় আসার পথে রাজধানীর গাবতলী এলাকা থেকে ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান নিখোঁজ হন। এছাড়াও তার সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছেন আব্দুল মুহিত, মোহাম্মদ ফিরোজ ও গাড়িচালক আমির উদ্দীন। নিখোঁজের আট দিন পর শুক্রবার রংপুরে বাড়িতে ফিরেছেন ত্ব-হা। রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানান, বিকাল ৩টার দিকে তাকে রংপুর নগরের আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন মাস্টার পাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে সেখান থেকে তাকে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
এমডব্লিউ/