আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের আরও দুটি জেলার দখল নিয়েছে তালেবান। আফগান বাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা লড়াইয়ের পর তারা জেলা দুটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।
দেশটির স্থানীয় তোলো নিউজ জাওজান প্রদেশের প্রাদেশিক কাউন্সিলের উপ প্রধান আমরুদ্দিন দানিসবরের বরাতে জানিয়েছে, শনিবার সকালে জাওজান প্রদেশের মারদিয়ান জেলা তালেবানের কাছে পতন হয়েছে।
তিনি জানান, জেলা দখলের সংঘর্ষে তালেবানের হাতে আফগান বাহিনীর অন্তত ১৬ সদস্য নিহত হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ১৪ জন তালেবানের হাতে বন্দি হয়েছে। তবে জাওজান নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
এদিকে, ফারিয়াব প্রদেশের প্রদেশিক কাউন্সিলর আব্দুল আহাদ আলী বেক বলেন, শুক্রবার রাতে তালেবান প্রদেশের খাওয়াজা জেলা কেন্দ্র দখলে নিয়েছে।
তিনি বলেন, ফারিয়াব প্রদেশে ‘গুল এখতিয়ার আরব’ নামে নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কমান্ডার তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। সরকারি বাহিনীর সহায়তা না পেয়ে এই কর্মকর্তা নিরপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
তবে এ বিষয়ে ফারিয়াবের নিরাপত্তা বাহিনীর কেউ মন্তব্য করতে চাননি।
তবে শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর ‘২০৯ শাহীন কর্প’স এক বিবৃতি জানিয়েছে, শুক্রবার জাওজানের ‘কোস টেপা’ জেলায় সেনাবাহিনীর অভিযানে তালেবানের সামরিক কমিশনের প্রধান মৌলভী সানাতুল্লাহসহ অন্তত আটজন তালেবান নিহত হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, গত দুই মাসে আফগানিস্তানে তালেবান অন্তত ৩০টি জেলা দখল করে নিয়েছে। আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার তালেবানের সঙ্গে অন্তত ১৩টি প্রদেশে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে।
আফগানিস্তানের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য সাদিক কাদেরি বলেছেন, কোনো কোনো এলাকা একদম প্রতিরোধ ছাড়াই তালেবানের কাছে ছেড়ে দেওয়া হয়। আফগানিস্তানের এসব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম তালেবান ব্যবহার করছে। কেন বিনা লড়াইয়ে হঠাৎ করে এই সমস্ত এলাকা তালেবানের কাছে ছেড়ে দেয়া হলো তা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর তালেবান দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারে।
এনটি